শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা!
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষিদের শীতের আগাম সবজি চাষের জন্য বীজতলায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় আগাম সবজি চাষ শুরু করতে পারছেন। সবজির কোনো রোগ বালাই ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের খড়ি বাড়ি গ্রামের চাষি আতাউর রহমান,আনিসুর রহমান, রফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি কম হওয়ায় এবছর সময় মতো শীতকালীন আগাম সবজির চাষ শুরু করতে পেরেছি। এখন সকাল বিকাল আমরা গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত আছি। এবছর লাউ, চাল কুমড়া ও শিম চাষ করছি। ঢোলারহাট ইউনিয়নের বড়দেশ্বরী এলাকার চাষি মিজানুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, নুরু ইসলাম, হবিবর রহমানসহ অনেকে বলেন, আমরা শীত পড়ার আগেই চাল কুমরা ও করলা লাগিয়েছি। এখন পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছি তারা আরও বলেন আশা করছি আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করতে পারব। তারা আশা করেন এবছর বাজারে সবজির দামও ভালো পাবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ জেলার প্রান্তিক কৃষকরা এবছর ব্যাপক পরিমানে লাউ, জালী কুমরা, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক, বেগুন, করলা, শিমসহ নানা শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খুচরা ও পাইকারি বাজারে সবজির দামও বেশ ভালো পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই শীতকালীন এসব সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক ও কৃষিতে অবদানের জন্য এ আইপি মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, চলতি বছর শীতকালীন সবজির ব্যবসায় অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সবজির রাজধানী হিসেবে খ্যাত খড়ি বাড়ি গ্রামের সবজি চাষীরা অনেক উপকৃত। তিনি বলেন এই এলাকার আগাম সবজির স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায় বলেন,এ বছর লাউ ২৭৫ হেক্টর, চাল কুমড়া ৬৫ হেক্টর এবং করলা ৪০৮ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করা হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন এখানকার কৃষকরা শীতের আগাম সবজি শিম, লাউ, পুঁইশাক, বেগুন, চাল কুমড়া, করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। শীতকালীন আগাম জাতের এসব সবজি চাষ করতে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।