স্ত্রী মানসিক রোগী, দীর্ঘ ছয় বছর পর স্বামীর তালাক নোটিশ
একদিকে স্ত্রী মানসিক রোগী,অন্যদিকে মুখের ভাষা অশ্রাব্য আর স্বামীর পরিবারকে হুমকি ধুমকিতে সংসার তছনছ। সাংসারিক জীবনে দীর্ঘ ৬ বছর পর স্বামী কর্তৃক তালাক নোটিশ প্রেরন করার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, আবু সালেহ বিগত ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল কামরুন নাহারের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর সুন্দর সংসারের পর শুরু হলো উভয়ের মাঝে মনোমালিন্য। সেই রেশ ইতি টানলো তালাক নোটিশে। স্বামী প্রাণপণ চেষ্টা করেও স্ত্রীর সাথে সুখের সংসার গড়া সম্ভব হলনা নানান কারণে।
আরো জানা যায়, চট্টগ্রামস্থ স্বামীর ভাড়া বাসা থাকাকালীন সময়ে স্ত্রী কামরুননাহার তার পিতা মাতার কু-পরামর্শে অনুমতিবিহীন স্বামীর বিরুদ্ধে বিনা কারনে ওয়ার্ড কমিশনার,বাকলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যেটির মাধ্যমে স্বামীর পরিবারকে নাজেহাল করা হয়। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে সংসার চালানোর স্বার্থে স্বামী নানা স্থানে চাকরি করে কাঙ্খিত ভরণপোষণ চালানোর পরেও স্ত্রীর প্রায়শ কটুক্তিভাষা শুনতে হতো। এছাড়াও স্ত্রীর পিতা-মাতা স্বামীর পরিবারকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হমকি-ধমকিও দিয়ে যাচ্ছন। এতে স্বামীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
পরবর্তীতে বাসা ছেড়ে দিলে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে চলে যান। গত ৯ই সেপ্টেম্বর স্বামীর গ্রামের বাড়ি থেকে মাতারবাড়ী বাপের বাড়িতে চলে যায় স্ত্রী।
তালাক নোটিশ সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী মানসিক রোগী। এটি গোপন রেখে তার পরিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসাই স্বামীর সাথে। এটিও এক ধরনের প্রতারনা। তারপরেও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা করানো হয়। তবে মানসিক সমস্যা এখনো কাটেনি।
পরবর্তীতে তার পিত্তনালীতে পাথর থাকায় বহু টাকা খরচ করে তিনবার অপারেশন করা হয়। এই টাকা জোগাড় করতে বর্তমানে স্বামী ঋণের ভারে জর্জরিত। সে প্রায়শ অসুস্থ থাকতেন। স্ত্রীর মুখের ভাষায় স্বামীর পরিবার অসন্তুষ্ট। সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য স্বামী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও
কিন্তু পারা সম্ভব হয়নি। এমনকি স্ত্রীসহ তার পিতা-মাতা বহুবার বলেছে তালাক দিয়ে দিতে।
১২ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর নিকট তালাক নোটিশ প্রেরন করা হয়। অধ্য তারিখ হতে সে আর স্ত্রী নন, আমিও স্বামী নয়। আলভী নামের কন্যা সন্তানটি স্বামীর নিকট পাঠানোর দাবিও জানান তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরও অনুলিপি পাঠানো হয়েছে তালাক নোটিশের।