লেখক ও কলামিস্ট ঃ মোঃ পল্লব মিয়া
জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শৈলকুপা উপজেলার রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাদের উপর তেমন হয়নি অত্যাচার ঘরবাড়ি ভাঙচুর যেটা একটু কিছু হলেই শৈলকুপা উপজেলার পুরানো ঐতিহ্য। সেদিক থেকে শৈলকুপা বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রশংসার দাবি রাখে। উপজেলায় যারা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ছিল তাদের অনেকেই এখন পর্যন্ত ঠিকমতো পরিষদে বসতেতে পারেনি এবং পারছেনা। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে যারা গেছে যে তাদের সাথে গোপনে চলছে পুনর্বাসনের দর কষাকষি।
ইতিমধ্যে শৈলকুপা উপজেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বৈরাচারী কায়দায় দখল হয়ে গেছে। এ আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট এর আর এক প্রতিচ্ছবি। একপক্ষ মাঠে নেই মাঠে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী খেলা ভালই চলছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কাজের ৪০ দিনে কর্মসূচি সহ টিয়ার ,কাবিখা,ভিজিএফ ,ভিজিডি ইউনিয়ন গত ভাবে ভাগাভাগি করা হয়ে গেছে। চলছে লুটপাটের মহা উৎসব। তবে পরিবেশ ছিল শান্ত।
কিন্তু ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসে বিএনপি’র কার্যনির্বাহিনী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। তার শুভেচ্ছা সকল কেন্দ্র করে কয়েকটা ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শৈলকূপা উপজেলা বিএনপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
নতুন করে সোমবার রাত ৯ টার দিকে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম হিটু ও জেলা বিএনপি’র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাইদুর এর বাড়িতে হামলা হয়েছে। যে প্রসঙ্গে জয়ন্ত কুমার কুন্ডু তার ফেসবুকে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান এর অপসারণ দাবি করেছে। ওসি মাসুম খান এর দুর্নীতি এবং স্বজন প্রীতির লাগাম টানবে কে??
আওয়ামী দোসর জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুর একসময়ে আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় কথা প্রসঙ্গে নিজেকে এ্যার্টনি জেনারেল আসাদুজ্জামান (আসাদ) সাহেব ভাগ্নী জামাই (নিকট আত্নীয়) হিসেবে পরিচয় দেন। ঘুষ, মামলা বানিজ্য যার প্রধান কাজ হিসেবে মনে করেন বলে জনসাধারণের মুখে মুখে। অবশ্য তার দাবির পরেই বিএনপির এই দুই নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ঘটনা ঘটলো।
একই রাতে হাকিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান ইকু শিকদারের বাড়িতে হামলা ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ঘটনা এবং তার কয়েকদিন আগে ১১ নম্বর আবায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান হেলালের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু শৈলকুপার ১৭ বছরের রক্তাক্ত অধ্যায়ের যারা নিয়ন্ত্রণ করত তারা আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।