শেরপুর প্রতিনািধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উদ্ধারকৃত কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি ফের বেদখলের অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যেই জবরদখলদার উদ্ধারকৃত ওই সরকারি জমির উপর থেকে প্রশাসনের টানানো সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। পুরোদমে চলতে নির্মাণ কাজ।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের ভুমি অফিস সংলগ্ন মহারশি নদীর ব্রীজপাড় মহল্লার বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন পুর্বে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখল করে বাসাবাড়িও দোকানপাট নির্মাণ করে। উক্ত দোকানপাট ও বাসাবাড়ি ভাড়া বানিজ্যি চালিয়ে আসছিল।
জানা যায়, ২০২১ সালে ওই জমি উদ্ধারের বিষয়ে শেরপুর জেলা প্রশাসন ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এঅভিযানে একাধিক টিনসেট ঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়। অন্যান্য দোকানপাটও বাসাবাড়িতে সরকারি জমি হিসেবে উপজেলা ভুমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন পর উদ্ধারকৃত দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে টানানো সরকারী সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলে দোকানপাটগুলো ফের দখল করে নেয়া হয়।
দোকানগুলো গত কয়েক সাম ধরে আবারো ভাড়া দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় জবরদখলদারের লোকজন বাসাবাড়ির টিনসেট ঘর ভেঙে ফেলে ওই জমির উপর বহুতল ভবনের ও নির্মাণ কাজ শুরু করে। অভিযোগে প্রকাশ,
গত প্রায়২ মাস পুর্বে ওই জমির উপর থেকে সরকারি সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জবরদখলদারের লোকজনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
এব্যাপারে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাসার বাউন্ডারি ওয়ালে আবারো সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাউন্ডারি ওয়ালের ভিতরে জবরদখলদারের লোকজন অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
সরকারি জমির উপর থেকে সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা মানেই শুধু দন্ডনীয় অপরাধই নয়, প্রশাসের নির্দেশ অমান্য করে সরকারি জমির উপর অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। অথচ গত দুই মাসেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা নিষেধ দেয়া হয়েছে। এরপরেও অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ কাজ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন আপনারা শুধু একটি ভবন নির্মাণের কথা বলেন কেন? ঝিনাইগাতীতে বহু অবৈধ দখলদার ও ভবন রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয় বলেন না কে?