হরিণাকুন্ডু প্রতিনিধি ঃ
মামুনুর রহমান ( টগর),
শাখারীদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা গতো বৃহস্পতিবার নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষক সাজেদুর রহমানের কাছে স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরী শোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। অভিযোগের ব্যবস্থা না নিলে মেয়েরা তখন আন্দোলন করার কথাও বলে। পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রধান শিক্ষক সাজেদুর রহমান শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ক্লাসে ফেরত পাঠান।
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড উপজেলার শাখারীদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুর রহমানের আত্মীয় নিরাপত্তা কর্মি শোহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অত্র স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে দির্ঘদিন ধরে বিরক্ত করে আসছে। একাধিকবার তাকে প্রেমের প্রস্তাব ও দিয়েছে, যদিও, সোহান বিবাহিত তার ঘরে স্ত্রী রয়েছে। ইতিপূর্বেও এই স্কুলে সোহানের কু-দৃষ্টির শিকার হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী।
সোহানের পিতা স্থানীয় আওয়ামিলীগের সাবেক মেম্বার হবার কারনে গ্রামের মেয়েরা ভয়ে এতো দিন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। জুলাই বিপ্লবের পরে কিছুদিন সোহান নিজেকে সংযত রাখলে ও ইদানীং আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্রস্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এই সোহান প্রধান শিক্ষক সাজেদুর রহমানের শ্যালকের ছেলে হবার কারনে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না। আমরা সোহানের বিচারের দাবিতে ও তার হাত থেকে মেযেদের নিরাপত্তার জন্যে প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার জানালে ও, প্রধান শিক্ষক সোহানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ না করে, উল্টো, তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বলেন,আমাদের স্কুলে আসতে ইচ্ছা করে না। সোহান মেয়েদেরকে অনেক বিরক্ত করে, এভাবে চলতে থাকলে অনেক মেয়েরা স্কুলে আর আসবে না, বন্ধ হয়ে যাবে তাদের লেখাপড়া।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন যে, স্কুলে এবং স্কুলে যাতায়াতের সময় রাস্তায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা প্রহরী সোহানের মতো বখাটেদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করে বিদ্যালয়ের পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।