কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ঃ
কাজী রফিক
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার ১৮৫০০ খামারি ২ লাখের বেশি পশু প্রস্তুত করেছেন। শেষ সময়ে চলছে এসব পশুর বাড়তি পরিচর্চা। পরম যত্ন সহকারে প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন-পালন করা কুষ্টিয়ার গরুর চাহিদা আছে রাজধানী ঢাকার বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতাদের। খামারীরা বলছেন, এবারের ঈদে দেশের বাইরে থেকে গরু না আসলে তারা লাভবান হবেন ।
আর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের বাইরের নয় দেশীয় গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ হবে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর বাড়তি পরিচর্চায় ব্যাস্ত সময় পার করছে কুষ্টিয়ার ১৮,৫০০ খামারী। অতি যত্নে আর প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব পশু । পশু মোটাতাজাকরণে কাঁচা ঘাস, ধানের গুড়া,গমের ভূষির উপর নির্ভর করেন খামারিরা। পরিবারের সদস্যদের মতই পরম আদরে লালন-পালন করা হচ্ছে এসব পশু।
খামারিরা বলছেন, দেশের বাইরে থেকে গরু আসলে কমে যাবে দাম, লোকসানের মুখে পড়বেন খামারিরা। তাই এবারের কোরবানির ঈদে দেশের বাইরে থেকে গরু না আনার দাবী তাদের।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আল মামুন হোসেন বলছেন, দেশীয় খামারিদের গরুতেই চাহিদা পূরণ হবে কোরবানির, ন্যায্য দামও পাবে খামারিরা।
প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারণেই তেজদীপ্ত থাকে কুষ্টিয়া এলাকার গরুগুলো। তাই ক্রেতাদের পছন্দের তালিকাও শীর্ষে থাকে এখানকার গরু।