নিজস্ব প্রতিনিধি
কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বাড়ির ফটক ধাক্কাধাক্কি ও কয়েকটি গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ফটক না খোলায় তারা ওই বিএনপি নেতাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা এলাকায় শামীম টোকেন নামে ওই বিএনপি নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টোকেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সার্চ কমিটির সদস্য। তার বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত এ.কে.এম ফজলুল হক।
ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাবের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিএনপি নেতা শামীম টোকেন বলেন, আমি পরিবারের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলাম। মাঝরাতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা বাড়িতে এসে গেটে ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলে। আমি গেট না খুললে তারা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে বকাবকি করতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি বলেন, বিএনপি করার কারণে এর আগে চারবার আমার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমি চরমভাবে নির্যাতিত। এই ঘটনা যারা ঘটাতে পারে এমন কয়েকজনকে সন্দেহ করছি। পুলিশকে তথ্য দিয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
টোকেনের বোন দৌলতআরা ফেরদৌস লাকী বলেন, ঘটনার শুরু রাত ১টা ২০ মিনিট থেকে। আমি ও আমার মেয়ে জেগেই ছিলাম। ঢাকাতে ছেলের সাথে মোবাইলে কথা শেষ করে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় গুলি শব্দ শুনতে পাই। চারিদিক থেকে তারা আমাদের বাড়ি ঘিরে নিয়েছিল। কাল ওরা আমার ভাইকে মেরেও ফেলতে পারতো। আমিও ঢাকায় থাকি। ভাই পরিবার নিয়ে গ্রামেই থাকে। এ ঘটনায় জড়িত যারা তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, দল থেকেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, দুর্বৃত্তরা ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি তাজা গুলি ও ৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। দেশের পরিবর্তীত পরিস্থিতির পর ওই এলাকায় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে জটিলতা রয়েছে। সব কিছু মাথায় রেখে তদন্ত চলছে