ভিক্টর বিশ্বাস চিতা স্টাফ রিপোর্টার
সেই যুগে যুগে দেখে আসছি। সরকার গুলো ক্ষমতায় আসার পর জনগণের কোনো দাবিই তারা মেনে নেয় না। এটা গোটা জাতির জন্য অনেক বড় দুঃখের বিষয়। আজকে যারা কোটা বিরোধী আন্দোলন করতে মাঠে নেমেছে। তাদের দাবি হলো মেধার মূল্যায়ন চায়।
আমাদের দেশের বতর্মান সরকারের কাছে তারা যেন অপরাধী হয়ে পড়েছে। এই রকম একটি দাবি যারা করছে। সরকার সহ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনিরা এমনকি ছাত্রলীগও আজকে তাদের চরম বিরোধী হয়ে উঠেছে।
যারা কোটার বিপক্ষে আন্দোলনে নেমেছে তারা কিন্তু কেউ সরকার পতনের দাবি তোলেনি। সরকারের দুর্নীতি নিয়েও কিছু বলেনি। এককথায় তাদের একটা ছোট্ট দাবি ছাড়া এখানে তাদের আর কোনো বাড়তি ভূমিকা ছিল না প্রথমত।
গণ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে রাজাকারদের নাতি পুতি শব্দটা উচ্চারণের পর থেকে আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। কেন এরকম একটি কথাই কেন একজন রাষ্ট্র প্রধানের বলতে হবে। তিনি তো বলতে পারতেন। তাদের প্রতিনিধিরা আমার সাথে সাক্ষাৎ করুক।
এখন ছাত্রলীগ বলছে। ওদেরকে রাজনীতি ভাবে মোকাবেলা করা হবে। এর মধ্যে বেশ মারামারি হয়েও গেছে। আমার প্রশ্ন হলো ছাত্রলীগে যারা বিভিন্ন পদে আছে। ওরা সবাই কি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তারা সবাই কি মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনি? তারা সবাই কি স্বাধীনতা সপক্ষের?
তাই যদি হবে তাহলে প্রতি মাসে গড়ে তিন থেকে পাঁচজন কখনও কখনও তারও বেশি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিস্কার করা হয় কেন?
ছাত্রলীগের মধ্যে যাদেরকে বিভিন্ন অপরাধে বহিস্কার করা হয়। তাদের দোষের মধ্যে অনেকেই নেশা করে। অনেকেই নেশা বিক্রি করে। অনেকেই নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। খুন ধর্ষণ সহ বড় বড় অপরাধে জড়িত তাদের কে । মিডিয়ায় প্রচার হলে ড্রাইভার আবেদ আলীর ছেলের মতো সঙ্গে সঙ্গে বহিস্কার করে দেয়া হয়। এর দায়কি ছাত্রলীগ এড়াতে পারে? পারে না। আমার কথা হলো যারা বহিস্কার করার ক্ষমতা রাখে তারা যে অপরাধী নয়। তার কি প্রমাণ আছে রাষ্ট্রের কাছে?
আজকে কোটার বিপক্ষে যারা আছে তাদের কে মোকাবেলা করার জন্য ছাত্রলীগ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমার প্রশ্ন হলো দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ছাত্রলীগের কি বতর্মান কোনো ভূমিকা আছে। নেই।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মরা প্রতিবাদ মিছিল করছে বিভিন্ন জায়গায় । আমি বলি ভালো কথা।
গত পনেরো বছর ধরে দেশের সিন্ডিকেট সারাদেশ জুড়ে সিন্ডিকেট করছে ওরা কিন্তু কেউ ছাত্রলীগ নয়। মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম ও নয়। কারণ ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মরা সবাই কিন্তু দেশপ্রেমিক। তাহলে তারা কেন দেশের দুর্নীতি দেশের সিন্ডিকেট নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করছে না। মিছিল করছে না।
সমগ্র জাতির কাছে এরকম প্রশ্ন রেখে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। দেশের সরকার, ছাত্রলীগ মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম এবং বতর্মান কোটা বিরোধী সহ দেশবাসীর শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। গোটা জাতি গোটা সমাজ ঐক্য থেকে একটি সভ্য জাতির প্রত্যাশী হোক।
এটা হোক আমাদের সকলের চাওয়া।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক
16/07 / 2024