পর্ব:- ০১
ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল কলেজ। এটা যেনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নই, রীতিমতো দুর্নীতির এক আখড়া।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখানে নিয়োগ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। সকল নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিয়োগ বানিজ্য হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার অধিক।
প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানের নামে একাধিক ব্যাংক একাউন্ট খুলে অর্থ আত্মসাৎ করার।
এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১২ বছর ধরে একই সাথে চাকরি করেছে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যার প্রমাণ মিলেছে নবদেশ ২৪-এর অনুসন্ধানে। অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি দায় চাপিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
এদিকে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ক্ষমতার দাপোট দেখিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হবার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী আমলে কলেজ অধ্যক্ষের শ্বশুর ও শালা ছিলেন শৈলকুপা থানার আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ দাপুটে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। অধ্যক্ষ নিজেই ছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা আওয়ামী লীগের ত্রান- পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক। তার ছোটো ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। তার দাপটে দলীয় লোকজন-ই সার্বক্ষণিক থাকতো আতঙ্কে।
সরকার পতনের পরে কলেজ অধ্যক্ষের নামে হয়েছে একাধিক মামলা। এতে করে প্রথম দিকে ছিলেন আত্মগোপনেও। আসতেন না বেশ কিছু দেন কলেজে। তবে এখন মাঝে মধ্যে প্রয়োজনে আসেন কলেজে। ঠিক মত কলেজে হাজির থাকেন না তিনি।
তথ্য মতে, শেখ হাসিনার আমলে প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য ধামাচাপা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য করা হয়েছে আবেদন। প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য হয়েছিল এক অডিট। তবে অডিট কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ , অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য ধামাচাপা দিতে তারা গ্রহণ করেছেন মোটা অংকের টাকা।
গত ৫-ই আগষ্টে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। জাতীয়রনের সকল কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ হয়ে আছে। তাই কলেজ জাতীয়করণ করতে অধ্যক্ষ প্রায়ই ঢাকাতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পিছু ছুটছেন।
অত্র প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে এর আগে একাধিক খবরের কাগজে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। তবুও কতৃপক্ষের উদাসীনতায় নেওয়া হয় নাই কোনো শাস্তিমুলক ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, নানা অন্যায় অনিয়ম ও দূর্নীতি ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানিয়েছেন, সকল দুর্নীতি, অনিয়ম হয়েছে অধ্যক্ষের নির্দেশক্রমে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের নানা অন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতির আরও অনেক তথ্য রয়েছে এবং আসছে দৈনিক নবদেশ২৪ এর অনুসন্ধানী টিমের কাছে।
আমাদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।