স্টাফ রিপোর্টার,ঈদগাঁও
ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেজি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ রিহামের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। বর্তমানে সে মৃত্যু পথযাত্রী। স্কুলের ছাত্রাবাসে ঢুকে পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনায় জড়িত কাকেও এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিচারের নামে নানা টালবাহানা করছে।
কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ফুঁসে উঠেছেন আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী, সাধারণ ছাত্রজনতা ও এলাকাবাসী। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। অন্যদিকে ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুর্বৃত্তদের উপযুক্ত বিচার ও গ্রেপ্তার দাবিতে সোমবার ৬ জানুয়ারি বিকেলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহাসড়কের স্থানীয় বাস স্টেশনের ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন গেট সংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ভুক্তভোগুর সহপাঠী, সাধারণ ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। আহত শিক্ষার্থী রিহামের গ্রাম ইউসুফেখীল এলাকা থেকে একদল বিক্ষোভকারী মিছিল সহ এ মানববন্ধনে যোগদান করে। এতে বেশ কিছু প্লে-কার্ড ও ফেস্টুন বহন করা হয়। মানববন্ধনটি বেশ কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয়। এ সময় মহাসড়কে স্বাভাবিক যান চলাচলে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে ঈদগাঁও থানা পুলিশ দল যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করেছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রিহামের পিতা প্রবাসী আব্দুল জলিল, রিহামের মামা নুরুল কবির, আজিজুল হক রুবেল, রেজাউল করিম, বাংলাদেশ দুর্নীতি নজরদারি সোসাইটির চেয়ারম্যান এরশাদ উল্লাহ খান, হেলাল উদ্দিন ফারুক, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ এহসান, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
বক্তারা রিহামের হত্যা চেষ্টাকারীদের এখনো বিচার না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, টানে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তাকে উপর্যপুরি ছূরিকাঘাত করা হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় সে এখনো বেঁচে আছে। ইতোমধ্যে তাকে ৪/৫টি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে। এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। বক্তারা আরো বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ অহেতুক কালক্ষেপণ করছে। বিচারের নামে তারা তামাশা দেখাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে স্কুলে কেউ নিরাপদ বোধ করবে না।
ভিক্ষোভকারীরা বলেন, জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদের উপযুক্ত বিচারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। স্কুলে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কোন সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তকে বিদ্যালয়ে ঠাঁই দেয়া যাবে না। বিদ্যালয় আঙ্গিনাকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ স্থানে পরিণত করতে হবে।
মানববন্ধনের বক্তারা আরো বলেন,যে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়, সে বিদ্যালয়ে কিভাবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে? অপরাধীদের না চেনার ভান করলে চলবেনা। সময় থাকতে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।