মোঃ রবিউল ইসলাম
সহকারী শিক্ষক
২নং প্রাগপুর মক্তব সঃ প্রাঃ বিদ্যাঃ
পাহাড়ের পাদদেশে
চিল- শকুনেরা থাকে।
যেন-তেন আসে ওরা
আমার সোনার দেশে।
আসতো ওরা ছিনিয়ে নিতে
খোকা বাবু তারে।
জননী আমায় দেখতো চেয়ে
অসহায় আঁখি জলে।
ছিঁড়ে ফেঁড়ে মেতেছে
ওরা নগ্ন উল্লাসে।
কেড়ে নিতে চায় ওরা
মায়ের মুখের ভাষা।
জুলুমের তরে মা যে
দিশেহারা।
হানাহানী আর ধ্বংস যজ্ঞে
ঝরছে অশ্রুধারা।
আহাজারি করে ফিরে
মায়ের বুক খালি।
বাঁচানো যায়নি সেদিন
বোনের মুখের হাসি।
মুষ্টি বদ্ধ হাতে অস্ত্র তুলে
নিয়ে বাংলার সব দামাল
ছেলে যুদ্ধে গেল চলে।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে
ফিরেছে বীরের বেশে।
ততক্ষণে ঘরটা গেছে ভেঙে
তারই নিচে চাপা পড়ে
কবর হয়েছে বাবার।
রক্তস্রোতে ভেসে গেছে
লাশ হয়েছে খোকার।
মায়ের খোঁজে পাগল বেশে
খুঁজছে আসার আলো।
আঁধার কেঁটে সূর্য যেন
রক্তিম চোখে ঝলসে ওঠেছে
সবুজ চাদর গায়ে।
জালিমেরা সব গেছে ভেগে
হানাদার গেছে চলে।
লুটতে তো আর
আসবেনা কেউ
স্বাধীন আমার দেশে।
গাছের শখার ভোরের
পাখি জেগেছে বুঝি
সবে।
করছে তারা বিজয় উল্লাস
স্বাধীন বাংলাদেশে।
লাল সবুজের পতাকা খানি
উড়ছে যেন মুক্ত পাখির গানে!
(সংগ্রহে মোঃ সুমন আলী, স্টাফ রিপোর্টার)