
***
আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, টাউন হল বধ্যভূমি, রংপুরে মোঃ মজিদ আলী বিপিএম পুলিশ কমিশনার আরপিএমপি,রংপুর এর পুস্পস্তবক অর্পণ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জনাব কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান, উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি) অতিরিক্ত দায়িত্ব ডিসি সদর দপ্তর ও প্রশাসন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান উপ পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি), জনাব মোঃ শিবলী কায়সার উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারগন, সহকারী পুলিশ কমিশনারগন, থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। বুদ্ধিজীবীগণ দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান, যাঁরা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তাঁরা ন্যায় বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে বিশ্ব ইতিহাসে এক ঘৃন্য অধ্যায় রচনা করে। নতুন দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল ও পঙ্গু করার জন্য দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ন্যায় দেশের মানুষের সার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক হরণ করতে থাকে, এক নদী রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব দিনে দিনে দূর্বল করে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশা ধূলিসাৎ করে। একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা শহীদ হন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এ পরিকল্পনা করে। সুতরাং আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী ওদূর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে। এ ক্ষেত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ আমাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ কারে যাবেন।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এএনএম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।