ভিক্টর বিশ্বাস চিতা
তীব্র শীত থেকে বাঁচতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই। তাই ব্যাস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার লেপ-তোষকের কারিগররা। চলছে প্রচুর বেচা-বিক্রি। মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দরে।
মৌসুমে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ টি লেপ-তোষক বানাতে হয় কারিগরদের। কিন্তু কাজের অনুপাতে মুজুরি না বাড়ায় ক্ষুদ্ধ তারা।
আকার ও তুলা ভেদে বিভিন্ন দামে লেপ বিক্রি করা হচ্ছে। শিমুল তুলার প্রতিটি পড়ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এবছর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাপড় ও তুলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে লেপ-তোষকের দামের।
এ উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে লেপ- তোষকের দোকান রয়েছে। পৌর বাজারে রয়েছে ১০ থেকে ১৫টি দোকান। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ চলছে প্রতিটি দোকানে। দোকানগুলোর প্রত্যেকটিতে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ টি লেপ কিংবা তোষক তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিকরা।
কারিগর সুলতান হোসেন জানান, বর্তমানে লেপ-তোষক সেলাই করে সংসার চালানোটা স্বপ্নের মতো। বাজারে সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে। সারাদিন পরিশ্রম করে যা পাই তাতে শুধু চালের দামটা দিতেই হিমশিম খেতে হয়।
পৌর বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী এসেম আলী বেডিং এর প্রোপাইটার আলামিন শেখ বলেন, শীত বাড়ার সাথে সাথে কাজের পরিমাণ বাড়ে তবে শীতের শুরুতে কাজের চাপ কিছুটা বেশি থাকে। বর্তমানে কাপড় ও তুলার দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় লেপ-তোষক বানাতে ব্যয়ও বেড়েছে।