তাহাকে দিয়েছিলাম
একটি ছোট্ট উপহার
কিছুদিন পরেই,
নিয়েছিল সে
দিয়েছিল খাতা
আপন করেই ।
দুদিন যেতেই
হয়ে গেলো শেষ
মাধ্যমিক পরীক্ষা তার,
দিয়ে গেলো ভালোবাসা
নিয়ে গেলো মন
ফিরলো না আর কখনই!
তারই ব্যাথাই ব্যথিত হয়ে
পরদিন আসলাম
মিশণ হতে ,
বুঝে নিলো ভুল
ঝরে গেলো সব ফুল
যত ফুটে ছিলো আমার মনে ।
গোললো না তার হৃদয়
এত বার কই
করলো না আর
সেই দিন ঐ রোজার শেষে
এসেছিলো ফিরে
আমার কাছে ।
কইলাম না কথা
চলে গেলাম হেটে
পাশ দিয়ে ,
“তারপর”
ভেবে ছিলাম আমি
কইবো কথা জানি
হইলো না সাহস বুকে ,
কী ছিল আমার সত্তর
সেই অপরাধ
ভেবে না পাই কনো উত্তর।
করলাম একদিন তারে
হোয়াটস্যাপ মেসেঞ্জারে
এখন করছো কি তুমি?
সেই কেমন জানি
মনের ঘটকা
অনুভব করলাম আমি ,
এখন দেখছি আমি
নিজেকে পরিবর্তন
খুব করেছো তুমি !
কইলাম তারে
করছো কনো
এই রকম আমারে?
কইলো- আর চাইনা শুনতে
তোমার এই ছদ্দ বেশে
আমার এই মন ।
ভাবিয়া পাইলাম না
তবুও দেখিলাম ভেবে
যদিও একবার আসে
সেই দিন থেকে
হয় না কথা
যাই না মন থেকে তার নাম
আমি কি সত্যিই খারাপ
সূর্যের তাপ
বাপরে বাপ !
রাখা ছিলো বিষ
খেয়ে নিলাম ইস!
হটাৎ করেই
সেই দিন রাতে
ছিলো না কেউ পাশে
আমি মরলাম তাতে কি?
হতে চলেছে দুই বছর
আমি এখনো জীবিত
হয় নি দেখা আর
তোমার অপেক্ষায় আছি
কথা হবে আজি
নাইকো আমি বাঁচি
করবো না দুস্টুমি
নিবো না মন
দিবো না আর ভালো বাসা
দেখা করো গো তুমি
আমার সাথে
শুধু একবার চেয়েছি
কথা বলতে ।
কবি– আর. এম. কারিমুল্লাহ
থানা- হরিশচন্দ্র পুর, জেলা – মালদা।