এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই মহাসড়কসহ উপসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালকরা। ওস্তাদ (চালকের) কাছ থেকে শিখে লাইসেন্স ছাড়াই তারা বসেছে চালকের আসনে। অদক্ষদের হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বহু যানবাহনের মালিকরা দেখেও নীরব দশকের ভূমিকায় রয়েছেন। জানা যায়, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদগাঁও এলাকায় তিন চাকার যানবাহন দুরন্তপনায় চলছে প্রতিনিয়ত। দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজার ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসড়কে টমটম,অটোরিক্সা চালাচ্ছে অল্প বয়সী তরুন ও অদক্ষ চালকরা। গাড়ির মালিকরা বাধ্য হয়ে অদক্ষ শিশু-কিশোর দের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন।
প্রায় চালক ওস্তাদদের কাছ থেকেই শেখানো। নেই কোন লাইসেন্স। ঝুঁকি নিয়ে কিশোর চালকরা চালান গাড়ী ভোর সকাল থেকে রাত পয়ন্ত। যাত্রী শামসু,গনি,পেঠানরা জানান, বৃহত্তর ঈদগাঁওতে অল্প বয়সী তরুন চালকের সংখ্যা বেশি। ঝুঁকি জানার পরেও এসব গাড়িতে উঠতে বাধ্য হচ্ছি, করার কিছু নেই। কিশোররাও রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়, যাত্রীরা সাবধান করলেও শুনেনা। এসব অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন এখন সময়ের গণদাবী। কয়েক সচেতন তরুন জানান, মহাসড়ক ও উপ সড়কের সবখানে অদক্ষ-অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকের ছড়াছড়ি। তারা অনেক দ্রত বেগে গাড়ি চালায়।
সড়কে দাঁড়ানো যাত্রী তুলতে হঠাৎ ব্রেক করে। এতে যাত্রীর সমস্যা হয়। এছাড়া গাড়ী খালি থাকলে উল্টো পথের যাত্রী নিতে এদিক ওদিক না তাকিয়ে হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়। যাতেই যেকোন মুহূর্তে সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষাকল্পে কিশোর,অদক্ষ ও লাইসেন্স বিহীন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে এলাকার সচেতন মহল।