হত্যা মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন ধনঞ্জয়পুর বকুলতলা বাজার এলাকা হতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে আসছে।
ধৃত আসামীদের সাথে বাদী মোঃ কুদ্দুছ বিশ্বাস (৬৯) ও তার ভাই ভিকটিম মোঃ নজরুল বিশ্বাস (৫৫) এর দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক দলাদলি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ইং ১৯ জুন ২০২৪ইং তারিখ বিকালে আসামীরা ধারালো রামদা, ছ্যানদা, হাসুয়া, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মশাখালী গ্রামস্থ মশাখালী তেমাথা নামক স্থানে একটি চায়ের দোকানের সামনে উপস্থিত হয়ে বাদীকে উক্ত দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পেয়ে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ফোলা রক্তজমাটবাধা জখম করে। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে ভিকটিম নজরুল বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা ঠেকানোর জন্য এগিয়ে আসলে আসামী মোঃ রেজাউল করিম নিজেই ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিম মোঃ নজরুল বিশ্বাস এর মাথার মাঝখানে কোপ দিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে।
আসামী তার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর চাচাতো ভাই মুত্তাকিম এর মুখের বাম পাশে কোপ দিয়ে হাড় মাংস কেটে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে ভিকটিমদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফোলা জখম করে। উক্ত আঘাতে ভিকটিমসহ গুরুতর জখম প্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোকজন মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিমের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় সেখান থেকে সিএমএইচ, যশোর ও পরে সিএমএইচ ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। চাচাতো ভাই মুত্তাকিম ও প্রতিবেশী হাবিবুরকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।
পরবর্তীতে ভিকটিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬/০৬/২০২৪ তারিখ দুপুরে ঢাকা সিএমএইচএ মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে ভিকটিম এর ভাই বাদী হয়ে ২০ জুন ২০২৪ তারিখে উক্ত ঘটনায় জড়িত আসামীদের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে মাগুরা জেলার শালিখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৬ জুন ২০২৪ ইং তারিখ রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ০২ জন পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন ধনঞ্জয়পুর বকুলতলা বাজার এলাকায় অবস্থান করছে।
আভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন ধনঞ্জয়পুর বকুলতলা বাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী- ১। মোঃ লিটন বিশ্বাস (৪০), পিতা- আলাউদ্দিন বিশ্বাস, সাং- ধোপাপাড়া, ২। মোঃ জিয়ারুল মন্ডল (৪০), পিতা- মনছের মন্ডল, সাং- মশাখালী, থানা- শালিখা, জেলা- মাগুরাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে মাগুরা জেলার শালিখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।