’ হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার ওয়াহিদ মিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছগির মিয়া’কে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নিহত ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়া (৩২) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার বাবনাকান্দি গ্রামের ইছাক উল্লার ছেলে।
একই গ্রামের আব্দুল হাই ও ছায়েদ মিয়ার সঙ্গে পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ০৯০০ ঘটিকায় ছায়েদ মিয়া আসামি ছগির মিয়া সহ অন্যান্য লোকবল নিয়ে আব্দুল হাই এর একটি জায়গা দখল করতে আসলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, শিকল, লাঠিসোঁটা, রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছায়েদ মিয়া ওরফে আব্দুল কাইয়ুম ও ছগির মিয়া সহ অন্যান্য আসামিদের শিকল, দা, লাঠিসোটা, রড সহ অন্যান্য দেশীর অস্ত্রের আঘাতে আব্দুল হাই ভিকপক্ষের লোক টিম ওয়াহিদ মিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে এবং আরো ২০-২৫ জন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানায় ৬০ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫/১২৯, তারিখ- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০২/৩০৭/৪৩৬/৩৮০/৪২৭/৫০৬/১১৪/৩৪, দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছগির মিয়া (৪৫) ফেনী জেলার সোনাগাজী থানাধীন উত্তর চর চান্দিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ছগির মিয়া (৪৫), পিতা- আব্দুর রশিদ, সাং- বাবনাকান্দি, থানা- বাহুবল, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করতঃ বর্ণিত মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে ফেনী জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলেও জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।