কক্সবাজারের চকরিয়া মালুমঘাট এলাকা এবং টেকনাফ থানাধীন খারাংখালী নাছের পাড়া এলাকায় পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত দুইজন আসামী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে এ সকল অপরাধে দায়েরকৃত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানার মামলা নং-২২, তারিখ-০৮/০৬/২০১৭, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৭৯/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড এবং মামলা নং-৪৩, তারিখ-২৮/০৫/১৬, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড মোতাবেক চকরিয়া সওদাগরঘোনায় চাঞ্চল্যকর নুর আমিন হত্যা মামলার দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ও একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ ইয়াছিন’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান থাকে। এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী কক্সবাজারের চকরিয়া মালুমঘাট এলাকায় আত্মগোপনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ২৩ জুন ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৯.৩০ ঘটিকার সময় র্যাবের আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ ইয়াছিন (৩৪), পিতা-বজল আহামদ, সাং-চরনদ্বীপ, ওয়ার্ড নং-০৮, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। এছাড়াও কক্সবাজারের টেকনাফ থানার মামলা নং-৯২, তারিখ-২২/০৫/১৯, জিআর নং-৪১৪/১৯, পি-১৮১৬৫/২২, তারিখ-১৮/০৪/২৩, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১) এর ১০(গ)/৩৮/৪১ মোতাবেক মাদক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোহাম্মদ নুর (২৫), পিতা-আঃ শুক্কুর, সাং-খারাংখালী গোদার পাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’কে গত ২৩ জুন ২০২৪ তারিখ ১৯.১০ ঘটিকার সময় টেকনাফ থানার খারাংখালী নাছের পাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদ্বয় নিজেদেরকে সংশ্লিষ্ট মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে এ যাবত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে অবস্থান করে আসছিল বলে জানায়।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।