চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার আলোচিত ১৩ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মনতাজ জলদাশ’কে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানার মামলা নং- ৩০(০৪)১৫, জিআর নং-৯৭/১৫, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মনতাজ জলদাশ কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন দোলখাড় বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৬ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ০৫২০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মনতাজ জলদাশ (৩২), পিতা-নেপাল জলদাশ, সাং-ইসলামপুর, থানা- জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামি’কে জিজ্ঞাসাবাদে সে সূত্রে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি’কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে গত ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ইং তারিখ ১৩ বছরের শিশু ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে মামলা রুজু হওয়ার পর সে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ ০৮ বছর নাম পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।