র্যাব-১৩, রংপুর, সিপিসি-২ নীলফামারীর অভিযানে নীলফামারী জেলার ডোমার থানার ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামী ধর্ষক আবু আজাদ গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, প্রতারক, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে র্যাবের ব্যাপক অভিযান অব্যাহত থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী ক্যাম্প আভিযানিক দল কর্তৃক নীলফামারী জেলার ডোমার থানার মামলা নং-১৪ তারিখ ২০/০৪/২০২৪, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১) মামলার পলাতক আসামীকে নীলফামারী জেলার ডোমার থানাধীন ০৭নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোগরা গ্রামের চিলাহাটি রোডগামী খুলখুলি ব্রীজের উপর অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আজাদ (৩০) পিতা-মোঃ আতাউর রহমান, সাং-খারিজা ভাজনী তালাতলা (ডাঙ্গাপাড়া), থানা-দেবীগঞ্জ, জেলা-পঞ্চগড় কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ০১/১১/২৩ তারিখে আসামী বাদিনীর স্বামীর অনুপুস্থিতে তার বাড়িতে আসেন বাদিনি তাকে আপ্যায়নের জন্য চা নাস্তা দিলে ঘরে কোন লোক না থাকার সুযোগে আসামী আচমকা বাদিনী কে জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ছবি তোলেন।
এতে বাদিনী ক্ষিপ্ত হয়ে ছবি ডিলেট করতে বললে আসামী জানান ভবিষ্যতে এমন করবেনা এবং ছবি ডিলেট করেছেন বলে বাদিনীকে আশ্বস্ত করে। পরে আসামী বাদিনীর সহিত শারিরীক সম্পর্ক না করে তাহলে উক্ত ছবি গুলো তার স্বামীর মোবাইল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে তার সংসার নষ্ট করার হুমকি দেয়।
উক্ত ঘটনার ০২ মাস পর ০২/০১/২৪ তারিখে রাত্রী ২২.০০ ঘটিকার সময় আসামী আবারও বাদিনীর বাড়িতে আসেন। সেদিন ও তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোবাইলে ধারণ করা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ব্লাক মেইল করে ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে বাদিনীকে বিবস্ত্র করে গোপনে শোকেজের উপর মোবাইল রেখে ক্যামেরা চালু করে বাদিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ করে। যা বাদিনী কোনভাবেই বুঝতে পারেনা।
পরে আসামী বাদিনীকে ফোন দিয়ে জানায় যে, এখন থেকে তার শারিরীক চাহিদা না মেটালে তার ধর্ষনের ভিডিও তার স্বামীর মোবাইলে ছেড়ে দিয়ে সংসার নষ্ট করবেন। উক্ত কথা শুনার পর বাদিনী চিন্তায় পড়ে যান এবং মোবাইল চালানো বন্ধ করে দেন এবং আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২৯/০২/২৪ তারিখে স্বামীর অনুপুস্থিতে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্নহত্যার চেষ্টা করলে তার ০৭ বছরের কন্যা দেখে কান্না শুরু করলে বাদিনীর দেবর দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে রক্ষা করে। পরে বাদিনীর কাছে তার আত্নহত্যার কারণ জানতে চাইলে উপরোক্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামী ঘটনার কথা স্বীকার করেন। ধৃত আসামীকে নীলফামারী জেলার ডোমার থানায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।