স্টাফ রিপোর্টার, ঈদগাঁও
দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ কোরবানী পশুর হাট ঈদগাঁওতে। এটি যেন চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাশঘেষে। সড়কের কাছাকাছি সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে কোরবানি পশু বিক্রি করে যাচ্ছেন। বাজারে এমন অবস্থাপনায় হতাশ হয়ে পড়েন ক্রেতা বিক্রেতারা। দেখার যেন কেউ নেই।
১১ই জুন (মঙ্গলবার) দুপুরের পর থেকে কোরবানি পশুর হাটে নানান সাইজের গরু মহিষে সয়লাভ হয়। দামের উপর নির্ভর করে কেউ কেউ দেখছেন,আবার কেউবা কোরবানীর পশু কিনছেন। অনেকে পশুর দর দামে ব্যস্তমুখর। চড়াদামে বিপাকে ক্রেতা সাধারণ।
পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরো কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর স্টেশন হতে কলেজ গেইট পর্যন্ত দীর্ঘলাইন জুড়ে কোরবানীর পশুর হাট বসছে। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। পাশাপাশি বড় আকারের গরু ও মহিষ ছিল চোখে পড়ার মত। মহাসড়কের দুপাশ জুড়ে যেন গরু আর মহিষে ভরপুর।
মহাসড়কের পাশঘেষে কোরবানের পশুর হাট বসার কারণে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উভয়মুখী দূরপাল্লার বড় বড় যানবাহনসহ ছোট ছোট পরিবহন চলাচলে চরম ভাবে ভোগান্তিতে পড়েছে। সেই সাথে গরুর বাজারে আগত লোকজন মহাসড়ক পারাপার হতে গিয়ে কষ্ট পাচ্ছে। গরু বাজারে নেই পার্কিং ও ট্রাফিকের ব্যবস্থা। গরু বাজারে যানজটের কারণে রোগীবাহী এম্বুলেন্স পরিবহনকেও লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। দীর্ঘ লাইন জুড়ে পশুর হাট বসায় জন ও যানবাহন চলাচলে নিদা রুন কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন সু-নজর।
পশুর হাটে পশু কিনতে আসা কয়জন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান,কোরবানে গরুর বাজার মূলত খোলা মাঠে করা দরকার। ক্রেতারা দেখেশুনে যেন তাদের পছন্দের পশু কিনতে পারে। এখন দেখা যায়, ঈদগাঁওর বৃহৎ পশুর বাজার মহাসড়কের পাশঘেষে।যানবাহন চলাচলের কারণে নেই কেনাকাটার সুবিধা। গরুর বাজারে যানবাহনে দুর্ঘটনার আতঙ্ক কিন্তু কম নয়। বাজারে কেউ হতাহত হলে দায়ভার কি কর্তৃপক্ষ নেবে? এমন প্রশ্নের ঘুরপাক খাচ্ছেন ক্রেতা- বিক্রেতা দের মাঝে।
এই বিষয়ে বাজার ইজারাদার রমজান কোম্পানীর মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।