পাবনায় একেরপর এক কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটছে। ক্রমাগত এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সোমবার (১০ জুন) ভোরে সবশেষ সাঁথিয়া উপজেলার রাজাপুর কবরস্থান থেকে ৫টি লাশের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতিকারীরা।
এর আগে গত ৮ জুন পার্শ্ববর্তী চিনাখড়া কবরস্থান থেকে ৫টি কঙ্কাল ও গত কয়েকদিন আগে আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৬টি কংকাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে একটি গ্রামীণ কবরস্থান রয়েছে। সোমবার সকালে ওই কবরস্থানের পুরাতন কয়েকটি কবর এলোমেলো গর্ত করা অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে তারা দেখতে পান সাদা কাপড় আছে, কিন্তু তার মধ্যে কোনো লাশ বা কঙ্কাল নেই। এভাবে দুষ্কৃতিকারীরা একটি মহিলার, একটি পুরুষ ও একটি শিশুর কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী নিজেদের স্বজনদের কবর ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য কবরস্থানে ভিড় জমায়।
এ বিষয়ে রাজাপুর গ্রামের শহীদ আলী বলেন, আমার ছেলে এক বছর আগে মারা গেছে। কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়ে এসে দেখি লাশটা নেই। কবরে শুধু কাফনের কাপড় রয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি আপনারা আমার ছেলের লাশটা উদ্ধার করে দেন।
রাজাপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন জানান, সোমবার সকালে কবরস্থানের পাশে তিনি তিল শুকাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তার নজরে আসে একটি কবরের বাঁশের চাতাল উঁচু হয়ে আছে। পরে তিনি অন্যদের সঙ্গে নিয়ে কবরস্থানে গিয়ে দেখেন কবরটির মাটি সরানো। পরে তারা দেখেন কবরের ভেতরে কোনো কঙ্কাল নেই। এভাবে একে একে তিনটি কবর থেকে দুষ্কৃতিকারীরা তিনটি কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। রোববার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় এ কঙ্কাল গুলো চুরি করা হয়েছে।
কঙ্কাল চুরির বিষয়ে ক্ষেতুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আলম পিন্চু বলেন, কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারকে অবহিত করেছি। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, কবর থেকে কঙ্কাল চুরি এটা খুবই অপ্রত্যাশিত ঘটনা। কবরস্থানে পাহারাদার রাখাও সম্ভব নয়। তবে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।