গত-০৯/০৫/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০২:১৫ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ থানাধীন ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাড়ীতে একদল ডাকাত ঘরের দরজার ছিটকারী ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন জোরপূর্বক লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার জনাব আক্তার হোসেন (বিপিএম-সেবা) এর দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নবীগঞ্জ থানার ডাকাতি মামলার ঘটনায় জড়িত ডাকত দুখু মিয়া ওরফে সুমন (৩৫) পিতা-জিগির আলী, মাতা-মৃত সাহেরা খাতুন, গ্রাম-গোতগাঁও, ৯নং পাইলগাঁও ইউ/পি, থানা-জগন্নাথপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইং ০৭/০৬/২০২৪ তারিখ রাত ১৯:৪৫ ঘটিকার সময় মৌলভীবাজার জেলাধীন শেরপুর থানার আবাসিক এলাকার একটি কলোনীর ভাড়া বাসা হইতে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত ডাকাত দুখু মিয়া ওরফে সুমন এর উপস্থাপনমতে লুণ্ঠিত কিছু নগদ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত শাবল, লোহার পাইপ তার ভাড়া বাসা হতে উদ্ধার করা হয়। ডাকাত দুখু মিয়া ওরফে সুমন একজন পেশার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
তার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে ডাকাতি মামলা রয়েছে। উক্ত ডাকাত কামারগাঁও গ্রামে মামলার বাদী ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। উক্ত ডাকতকে অদ্য-০৮/০৬/২০২৪ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। উক্ত ডাকাত দুখু মিয়া ওরফে সুমন বিজ্ঞ আদালতে ডাকাতির ঘটনায় বর্ণনা দিয়া এবং ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।