ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
২ জুন, ২০২৪ ইং:ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শহরে চলছে অবাধে ফেন্সিডিল ও মাদক ব্যবসা। মাদকসেবীরা ছিনতাই ও ছিঁচকে চুরিতে সর্বস্বান্ত করছে শহর সহ এলাকাবাসীকে। সম্প্রতি সময়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আনাচকানাচে সর্বত্রই ফেন্সিডিল, হেরোইন, গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের ব্যবসা অবাধে চলছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের যোগসাজশে প্রকাশ্য দিবালোকেই চলছে এ ব্যবসা। এটি নিয়ন্ত্রণ করছে কয়েকজন গডফাদার। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, উপজেলা শহরে উঠতি বয়সের তরুণদের একটি অংশ এ নেশার জগতে পা দিয়ে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। অনেক অভিভাবক তাঁর মাদকাসক্ত সন্তানকে পুলিশের হাতেও তুলে দিতে কুণ্ঠা করছেন না। শহরের গ্রাম অঞ্চল রোড বস্তিতে প্রকাশ্যে পুলিশের নাকের ওগায় বিক্রি হয় গাঁজা ও হেরোইন। তাছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বাড়িতে প্রতিদিন বসে হেরোইন বিক্রির বাজার।উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ফেন্সিডিল বিক্রির কথা সবার জানা থাকলেও এ কাজে বাধা দেয়ার কেউ নেই। এখান থেকে গোটা দক্ষিণবঙ্গের ফেন্সিডিলের বাজারও নিয়ন্ত্রিত হয় বলে জানা গেছে। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল ফরিদগঞ্জে আশেপাশের জেলা থেকে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য দেশে অনুপ্রবেশ করে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য দেশে অনুপ্রবেশ করে। এসব অবৈধ মাল প্রথমে সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকটি চিহ্নিত স্থানে গুদামজাত করা হয়, পরে সুযোগ বুঝে তা বাজারে ছাড়া হয়। মাঝে মাঝে কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো কিছু অভিযান চালালেও এতে অপরাধ প্রবণতা কমছে না। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মাঝে মাঝেই জেলার মাদক ব্যবসার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফরিদগঞ্জ উপজেলা বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে চাঁদাবাজি,ডাকাতি, সন্ত্রাসী,চুরি ও অন্যান্য অপরাধ চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অপরাধের পশ্চাতে মূলক মাদকদ্রব্যই দায়ী। মাদকদ্রব্যে বা নেশার টাকা জোগাড় করতে অনেক ভালো পরিবারের সন্তানরাও চাঁদাবাজি, চুরিচামারিতে লিপ্ত হচ্ছে। আশংকা করে যাচ্ছে, অবিলম্বে যদি সামাল দেয়া না যায় তাহলে সামাজিক অবস্থার যে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।