কক্সবাজার রামু থানাধীন চেইন্দা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০২ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় মাদক পরিবহন করে দেশব্যাপী মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা ও দেশব্যাপী মাদকদ্রব্যের বিস্তাররোধে ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ এই স্লোগানে উজ্জ্বীবিত হয়ে র্যাব-১৫, কক্সবাজার কর্তৃক প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নস্থ চেইন্দা এলাকার মক্কা-মদিনা কুলিং কর্ণারের সামনে একজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০১ জুন ২০২৪ তারিখ অনুমান ০০.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পলায়নের চেষ্টাকালে ছৈয়দুল আমিন নামে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত মাদক কারবারীর সাথে থাকা একটি নীল রংয়ের কাঁধ ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ০২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়-ছৈয়দুল আমিন (৪৪), পিতা-মৃত আব্দুর রহমান, মাতা-মৃত দিলারা বেগম, সাং-জামতলী, ০৫নং ওয়ার্ড, পালংখালী ইউপি, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত। সে মাদকদ্রব্য গাঁজা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অভিনব পন্থায় সংগ্রহ করে অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে বলে জানায়।
৪। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
—–ধন্যবাদ—–