র্যাব-৭, চট্টগ্রামের মাদক বিরোধী অভিযানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম হতে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ ০৩ জন মাদক কারবারি আটক; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি সিএনজি অটোরিক্সা যোগে মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রাম এর দিকে এগিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০১ জুন ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ০৫০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে কাবাব এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্টের সামনে পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি সিএনজি অটোরিক্সার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা সিএনজি অটোরিক্সাটিকে থামানোর সংকেত দেয়। এসময় সংকেত অমান্য করে অটোরিক্সাটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা অটোরিক্সা সহ আসামি ১। ছোটন (২৮), পিতা-মৃত জহিরুল হক, সাং-পিপড্ডা, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা, ২। সাইদুল ইসলাম (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল হাকিম, সাং-বড় গাংগাইল, থানা-আখাউড়া, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ৩। মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৩৮), পিতা-মৃত ওবায়দুল হক, সাং-দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের হেফাজতে থাকা সিএনজি অটোরিক্সার পিছনের সীটে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত এবং নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে ১টি পাটের বস্তা হতে মোট ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে মাদকদ্রব্য (ফেন্সিডিল) কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০২ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি ও জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।