র্যাব-১২, সদর কোম্পানির অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানা এলাকা হতে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন বিপিএম, পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিকনির্দেশনায় গত ৩০ মে ২০২৪ খ্রিঃ রাত্রি ২০.০০ ঘটিকার সময় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানাধীন ধোপাগাড়ী বাজার এলাকায়” একটি অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি মোঃ রবিন (২০), পিতা-মোঃ মানিক, সাং-বিনশারা, থানা-তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার মামলা নং-১৪/১৩৪, তারিখ ২২ মে ২০২৪ খ্রি. ধারা: ৯(১)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, গত ২০ মে ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যাবেলা বাদীনির নিকটাত্মীয় মারা যাওয়ার কারণে বাক প্রতিবন্ধী ভিকটিমকে তার মা তাদের ঘরে রেখে বাড়ির দায়িত্ব¡ ভাসুর মানিক কর্মকারের কাছে দিয়ে যান। দাফন কার্য শেষে রাত ২১.০০ ঘটিকার সময় বাড়িতে আসলে বাদীর ভাসুর এবং শাশুড়িকে তাদের ঘরে বসে থাকতে দেখেন। বাদীনি তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে দেখে শাশুড়িকে জিজ্ঞাসা করলে শাশুড়ি বলে যে, রবিন ভিকটিমকে ধর্ষন করে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে র্যাব-১২ এর ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ধৃত আসামি মোঃ রবিন (২০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।