নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ভিন্ন রেকর্ড গড়েছেন ব্যারিস্টার কে এম সালমান শামস জিৎ। তিনি টাঙ্গাইল ৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে গঠিত সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী বাতেন বাহিনীর প্রধান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবদুল বাতেন এর পুত্র। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয় এবং রাতে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে জনসাধারণে চমক দেখিয়ে প্রায় ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তরুণ সমাজের জনপ্রিয় মুখ সালমান শামস জিৎ। টানা ১৫ বছর নাগরপুর উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুছ ছামাদ দুলাল’কে বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ভিন্ন রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
সদ্য নির্বাচিত নাগরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সালমান শামস জিৎ বলেন, আমি প্রথমেই নাগরপুরের সর্বস্তরের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। আমার বিজয় দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে জনগণের শক্তিই হচ্ছে মূল শক্তি। আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। বিশেষ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানে আমি ভূমিকা রাখতে চাই। যারা আমাকে নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের সাথে সমন্বয় করে উপজেলা পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। পরিশেষে, নাগরপুরে সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, নাগরপুর উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে কে এম সালমান শামস জিৎ ৩৫ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে আব্দুছ ছামাদ দুলাল পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮১৭ ভোট। এদিকে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮ প্লাটুন বিজিবি সহ ব্যাপক পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো।