নামাজ শেষে জায়নামাজে বসা শিখা আক্তার শিল্পী নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে তার মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ননদ ও ননদের স্বামী, দেবর, শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ মে) সন্ধ্যায় নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের কুঁতিগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরাও একই এলাকার।
তারা হলেন– ননদ রেশমা (২০) ও ননদের স্বামী নয়ন মিয়া (২৬), দেবর কাজল মিয়া (২২), সাজল মিয়া (২০) ও শ্বশুর জালাল মিয়া (৬৫)।
ভুক্তভোগী শিখা আক্তার শিল্পী বলেন, ‘ঘটনার সময় মাগরিবের নামাজ শেষে আমি জায়নামাজে বসেই তসবিহ পাঠ করছিলাম। এ সময় ননদ ও ননদের স্বামী, দেবর, শ্বশুর ঘরে ঢুকে আমাকে পিটাতে থাকে। আমি চিৎকার করতে গেলে আমার মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা আমার চুল কেটে নেয়। এরপর ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই গৃহবধূর স্বামী ফজলুল হক জানান, আমার বোনের সঙ্গে নয়নের প্রেমের বিয়ে হয়। তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা আমার বাড়িতে হামলা করেছে। এ সময় তার স্ত্রীকে মারধর ও মাথার চুল কেটে ফেলে। ঘরে থাকা টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত নয়নের বাবা জালাল মিয়া জানান, ‘এ ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। আমরা বাড়িতে ছিলাম না।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সৌরভ ঘোষ জানান, ‘আহত শিখা আক্তার শিল্পীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিখা আক্তার শিল্পীর স্বামী। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।