নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, সারাদেশে চলমান দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ভোটকেন্দ্রে স্ট্রোক করে দুজন মানুষ মারা গেছেন। তাদের এই মৃত্যু নির্বাচনী সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকে তিনি এসব তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে বড় ধরনের কোনো নাশকতার খবর আমরা পাইনি। ভোট কেন্দ্রের বাইরে ছোটখাটো দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যার সংখ্যা মাত্র ১৮টি। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে দুটি ঘটনা ঘটেছে। রাজবাড়ীতে একজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় সম্ভবত স্ট্রোক করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছেন। আর রাজশাহীতেও একজন আনসার ভিডিপি কর্মী স্ট্রোক করে মারা গেন। এসব মৃত্যুর সঙ্গে নির্বাচনী সহিংসতার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। আমরা আশা করি বিকেল চারটা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটের হার আরও বাড়বে। সাধারণত গ্রামে ভোটারদের উপস্থিতি দুপুরের পর। আমরা প্রত্যাশা করছি সুন্দরভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজর ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুপুর বারোটা পর্যন্ত আমরা দশ হাজার কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। তাতে দেখা গেছে প্রদত্ত ভোটের হার শতকরা ১৬.৯৪ শতাংশ। মানে প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ১৫৬ উপজেলায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে ৪৫৮ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ৪৭ হাজার ৮২৯ জন। এছাড়া স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবেও রয়েছে ১৯ হাজার ৫৭ জন পুলিশ সদস্য। দায়িত্ব পালন করেছেন এলিট ফোর্স র্যাবোে ২ হাজার ৭৬৮ জন ও আনসারের ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন সদস্য।