
(স্টাফ রিপোর্টার)
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে জম্ম মোঃ সোহাগ ফকির ছোট বেলা থেকেই মানুষের সাথে মেশে থাকা ছেলেটি আজ গরিবের বন্ধু কেউ কেউ তাকে মানবিক কর্মী হিসাবে ডাকে ছোট বড় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান মুসলমান সবার প্রিয় মুখ সোহাগ ফকির স্কুল জীবন থেকেই মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন ভাবে গরীব অসহায় মানুষ কে নিজের শ্রম দিয়ে উপকার করে আসছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছে ছিল আসমানের চাঁদ। স্কুলে যাওয়ার সময় মা বাবার দেওয়া টিভিন এর টাকা নিজে না খেয়ে বন্ধু বান্ধবীদের খেতে দিত । এককথায় গরীব অসহায় মানুষের সাথে মিশে থাকা ছিল তার কাজ নিজেকে সবসময় ভাবতো যদি গরীব অসহায় মানুষের জন্য আমার দ্বারা উপকৃত হয় তাহলে আমি নিজেকে সার্থক মনে হবে । কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস পরিবারের কথা চিন্তা করে লেখা পড়া ছেড়ে চলে আসে জীবনের তাগিদে ঢাকার শহরে । শুরু হয় কর্ম জীবন মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে দিন রাত পরিশ্রম করে মা বাবা ভাই বোনদের জন্য জামা কাপড় সংসারের খরচ পাঠিয়ে দেয় বাড়িতে ।আর চোখের জল দিয়ে চিঠিতে লেখা প্রিয় মা বাবা আমার সালাম নিও আসা করি আল্লাহুর রহমতে ভালো আছেন আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি বাড়ির সবাই কেমন আছে আমার প্রান প্রিয় ভাই বোন গুলো কেমন আছে ও গ্রামের মানুষ গুলো কেমন আছে সবাই কে আমার সালাম দিবেন। নিজের দুঃখ কষ্ট গুলো লুকিয়ে রেখে ও গ্রামের সাধারণ গরীব অসহায় মানুষের কথা ভুলে নাই শহরের ওই লোকালয় থাকা ছেলেটি সোহাগ ফকির। কথায় আছে মানুষের মধ্যে মানুষ আছে সেই মানুষ ই সেরা নিজেকে যে বিলিয়ে দেয় স্বার্থ ছাড়া। একসময় দিনরাত পরিশ্রম করে যখন ক্লান্ত তখন চিন্তা করে জীবনে ভাল কিছু করতে হলে নিজেকে আর বড় কিছু করতে হবে একদিকে পরিবার অন্য দিকে সমাজের গরীব অসহায় মানুষ গুলো কি করা যায় অনেক বেশি নিজেকে চিন্তায় চিন্তায় ক্লান্ত অতপর চাকরি নেয় কাপড় তৈরির কারখানায় দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম আর পরিশ্রম অবশেষে সঠিক শ্রম আর সততা ন্যায় পরায়ণ বিশ্বাস এর ফলে কারখানার মালিকদের চোখে হয়ে উঠেন আদর্শ নীতিবান ব্যক্তি হিসাবে।মনে হয় ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে সামনের দিকে।এক পর্যায়ে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসায় করার ইচ্ছে জাগে কিন্তু ব্যবসায় করতে টাকা পয়সা দরকার কিন্তু কিভাবে ব্যবসায় করব মাথায় শুধু চিন্তা আর চিন্তা কে আমাকে টাকা পয়সা দিবে কি করা যায়। অতপর মা বাবা কে চিঠি দিবে ভাবছে আবার নিজে নিজে ভাবছে মা বাবা টাকা পাবে কোথায় না টাকার জন্য মা বাবার কাছে চিঠি দেওয়া যাবে না। কিন্তু কি করব টাকা কই পাবো অনেক চিন্তা খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়া দিসে। ভাবতে লাগলো কি করব বুঝতে পারছি না অবশেষে নিজের শ্রম দেওয়া জমানো কিছু টাকা দিয়ে কিছু একটা শুরু করি দেখা যাক কি করা যায়।এক পর্যায়ে চাকরির পাশাপাশি ছোট খাটো ব্যবসায় কিছুটা আয় হলে নিজেকে বড় শান্তি লাগছে । ভাবতে লাগলো সামান্য আয় আর চাকরি দিয়ে তো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে না কিন্তু কি করব।এক পর্যায়ে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় যখন চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত কারখানার মালিক কে বলে তখন মালিক বললো দেখ সোহাগ তুমি আমার একজন বিশ্বাত্ব কর্মচারী চাকরি ছেড়ে কি করবে তখন সোহাগ ফকির কারখানার মালিককে বলে স্যার আমার ছোট বেলা থেকেই অনেক বড় ইচ্ছে সাধারণ অসহায় গরীব মানুষের জন্য কিছু একটা করা কারখানার মালিক সোহাগের কথা শুনলে অবাক হয়ে যায় । জীবনে শুধু নিজের কথা চিন্তা করলে তো আর মানুষ হওয়া যায়না মানুষের কথা ও ভাবতে হয় আর মানুষের জন্য কিছু করতে পারা মানে নিজেকে যোগ্য মনে করে তোলা। একপর্যায়ে কারখানার মালিক সোহাগ ফকির কে চাকরি পাশাপাশি ব্যবসায় পরামর্শ দেন কিন্তু মালিকের কথা শুনে সোহাগ ফকির বলেন স্যার ব্যবসায় করতে টাকা পয়সা লাগে আমি কই পাবো এত টাকা সোহাগের কথা শুনে কারখানার মালিক মুচকি হেসে বললো আরে বোকা টাকার কথা ভাবছো টাকা আমি তোমাকে দিব সোহাগ ফকির মালিকের কথা শুনে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আর চোখ গুলো ছলছল করছে চোখের কিনারায় পানি চলে এসেছে সোহাগ ভাবতে লাগলো এই আমার স্বপ্ন পূরনের রাস্তায় দাঁড় হতে পারব। পরিশেষে চাকরি আর ব্যবসায় সোহাগ ফকিরের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ব্যবসায় চাকরি দিয়ে ভাল ভাবে জীবন চলছে । এবার ভাবে গ্রামে যাব আমার গ্রামের সাধারণ অসহায় গরীব মানুষের কাছে গিয়ে যার যার যে সমস্যা আছে সেগুলো কিছুটা হলেও দুর করতে পারব। চলে আসে গ্রামে গ্রামে আসার পর মা বাবা ভাই বোন গ্রামের সাধারণ গরীব অসহায় মানুষ গুলো জেন আকাশে চাঁদ পেল সবার চোখে মুখে আনন্দ হাসি এ জেন এক সকালের রবি ।এর পর সোহাগ ফকির গ্রামের মানুষ গুলো নানা সমস্যা গুলো শুনে সবাইকে সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করতে লাগলো গ্রামের মানুষ গুলোর মুখে আনন্দ হাসি দেখতে পেল সোহাগ ফকির নিজেকে ধন্য মনে করলো এর পর থেকে সোহাগ ফকির সাধারণ গরীব অসহায় মানুষের জন্য যে যা চায় তখন যখন যা পারে মানুষ কে সাহায্য করে যায়। তবে সাহায্য গুলোর মধ্যে সাধারণ গরীব অসহায় মানুষ কে কাপড় লুঙ্গি গামছা চাদর ছাতি শীতের পোশাক গরীব অসহায় মেয়েদের বিবাহের জন্য টাকা পয়সা দেওয়া ও সামাজিক কাজ কর্মে সাহায্য মসজিদ মন্দির সহ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খেলা দুলায় এবং রাস্তা ভাংঙা মেরামত করার জন্য ও চিকিৎসা জন্য টাকা দিয়ে সাহায্য করা সহ অসংখ্য মানবিক কাজ করে থাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ।আর এই জন্য গ্রামের সাধারণ গরীব অসহায় মানুষের কাছে হয়ে উঠেন আদর্শ নীতিবান ও গরীবের বন্ধু হিসাবে এক মানবিক কর্মী।