কক্সবাজার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১,৫০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ একজন মহিলা মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা নানাবিধ অভিনব পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে দেশের যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ কর্তৃক দায়িত্বাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ০৯নং ওয়ার্ডস্থ ক্যাম্পপাড়া এলাকার জনৈক আব্দুল আমিনের বসত ঘরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবার একটি বড় চালান ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মে ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৫.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘর থেকে কৌশলে বের হয়ে পালায়নের চেষ্টা করে। এ সময় পলায়নের চেষ্টাকালে নুর ফাতেমা নামে এক মাদক কারবারীকে বিধি মোতাবেক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাবের আভিযানিক দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নুর ফাতেমা জানায়, ঘরটি তার স্বামীর বসত ঘর এবং ঘরের খাটের নিচে সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ রয়েছে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক বসত ঘর তল্লাশী করে সর্বমোট ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী বিস্তারিত পরিচয়- নুর ফাতেমা (২৬), স্বামী-আব্দুল আমিন, পিতা-মোহাম্মদ হোসেন, মাতা-মৃত দিলদার বেগম, সাং-ক্যাম্প পাড়া, শাহপরীরদ্বীপ ০৯নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-সাবরাং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং তার স্বামী আব্দুল আমিন’সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মাদক কারবারী মাদকদ্রব্য ইয়াবার এই রমরমা ব্যবসা দীর্ঘদিন করে আসছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ইয়াবার বড়/ছোট চালান দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে কয়েক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে বসতঘরে বিশেষ কায়দায় মজুদ করতো। পরবর্তীতে তাদের সুবিধামত সময়ে মজুদকৃত মাদকের চালান স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক বিক্রি করতো বলে জানা যায়।
৪। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক ও অজ্ঞাতানামা মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
—–ধন্যবাদ—–