জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ০৫ সদস্য গ্রেফতার ও ০৬টি সোনালী রংয়ের মুর্তি উদ্ধারঃ
[১২ মে ২০২৪ খ্রিঃ]
সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার), পিপিএম(বার) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রায়গঞ্জ সার্কেল, সিরাজগঞ্জ এর সার্বিক তত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), সলংগা থানা, সিরাজগঞ্জদের নেতৃত্বে সলংগা থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১/০৫/২০২৪ খ্রিঃ রাত্রী ০৪.০০ ঘটিকায় সলংগা থানাধীন হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করাকালে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা একটি বাস হতে ০৫ (পাঁচ) জন যাত্রীবেশী প্রতারক হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরে নেমে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠে। সে সময় আভিযানিক দল তাদের নিকটে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ০৬টি সোনারী রংয়ের মুর্তি ও বিভিন্ন ধরনের আর্যুবেদীক ঔষধ উদ্ধার করে।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার জগন্নাথপুর বানিয়াপুর গ্রামের আব্দুল কাদের এর ছেলে মোঃ শফিউল আলম ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার টেরীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন, পাবনা আমিনপুর থানার সৈয়দপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে মজিবর রহমান ও বন্দের আলী সরদারের ছেলে আকাশ সরদার। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, আসামীরা জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা গ্রাম গঞ্জের সহজ সরল লোকদের গুপ্তধন পায়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার নিকট হতে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে। অনুমান ১০ দিন পূর্বে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন ভাটিকয়া গ্রামে জনৈক মোঃ রেজাউল হকের বাড়ীর পাশে মাটির নীচ হতে একটি পিতলের পাতিল উদ্ধার করে তাতে স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে উল্লেখ করে রেজাউলের বাবার হাতে দেয়। কিন্তু পূর্ব হতেই পাতিলে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় উত্তপ্ত পাতিল হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজাউলের পিতার হাত পুড়ে যায়। সেই সময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে জানায় যে, গুপ্তধন এখনো কাচা রয়েছে, যাদু মন্ত্র দিয়ে পাকা করতে হবে। প্রতারকরা রেজাউল ইসলামকে পাতিলটিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে পুতে রাখতে বলে। পাকা করার পর গুপ্তধন ব্যবহার উপযোগী হবে। এছাড়া প্রতারকরা আরো জানায় যে, তাদের বাড়ীতে আরো গুপ্তধন রয়েছে, এগুলো জিনের মাধ্যম দিয়ে উদ্ধার করা যাবে। গুপ্তধনে ১৮টি স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে যার অনুমান মুল্য ৩৬,০০,০০০/-টাকা। আপনারা যদি আমাকে ৫,০০,০০০/-টাকার বিনিময়ে দিয়ে দেন আমি নিয়ে যাবো। কিন্তু সহজ সরল রেজাউল ইসলাম প্রতারকদের প্রতারনা বুঝতে না পেরে তাদেরকে নগদ ৪০,০০০/-টাকা দিয়ে কথিত গুপ্ত ধনের পাতিলটি নিজেদের কাছে রাখে এবং ১০ দিন পরে উক্ত কাচা গুপ্তধন পাকা করা সহ আরো গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য ৫০,০০০/-টাকা চুক্তিতে আসতে বলে। প্রতারক চক্ররা সেদিন রেজাউলের নিকট হতে ৪০,০০০/-টাকা নিয়ে চলে যায়। ১১/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ প্রতারনার উদ্দেশ্যে পাবনা আমিনপুর যাওয়ার পথে হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরে প্রতারক চক্রের উক্ত ০৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।