পরীক্ষার আগের রাতে তালাবদ্ধ ভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষক হেনস্তা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে পি.সি ও আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গতকাল শনিবার (১১ মে) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন নিজ নিজ কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না, এ ধরনের কোন লিখিত ও মৌখিক নির্দেশনা ছিল না।
এমতাবস্থায় দু’জন সম্মানিত শিক্ষক তাঁদের নিজ নিজ কক্ষে অ্যাকাডেমিক কাজ করার সময় আনসার সদস্য কর্তৃক বাঁধাগ্রস্ত হবার ঘটনা নজিরবিহীন এবং অনভিপ্রেত। এছাড়াও আনসার বাহিনীর দু’জন পি.সি. মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে উক্ত দু’জন সম্মানিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যেটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, গত ০৫ মে কার্যনির্বাহী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে শিক্ষক হেনস্তার সাথে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৮টার পর ইউনিটে কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্যদের ভবনে প্রবেশ নিষেধ ছিল। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে এবং রাত ১১টায় ড. আবু শিবলী মো. ফাতেহা আলী অনুষদ ভবনে প্রবেশ করেন। ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদেরকে প্রবেশ না করতে বাঁধা দিলে আনসারদের কথা অমান্য করে প্রবেশ করেন। পরে এর প্রেক্ষিতে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।