মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম
স্টাফ রিপোর্টার
নরসিংদীর মনোহরদীতে দোকান মালিকের কাছে ভাড়াটে পক্ষের ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মালিক পক্ষের অভিযোগে বলা হয়েছে যে,দোকান মালিক সাজ্জাদ আলী বাহার(৫৩)পিতা-হযরত আলী,সাং-চন্দনপুর,মনোহরদী,নরসিংদী,দীর্ঘ দিন যাবৎ স্ব-পরিবারে ঢাকায় বসবাস করে আসছে।উপজেলার চালাকচর বাজারে পৈত্ত্বিক ভাবে ৪ শতাংশ চান্দিনা ভিটি রহিয়াছে।
উক্ত জমিতে টিন সেট বিল্ডিং নির্মাণ করিয়া ৭ সাটার বিশিষ্ট ৩২ ফুট লম্বা ১০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট বিল্ডিং ঘর বিবাদী ১/জাকির হোসেন পিতা-মৃত:ফালু মিয়া ২/রোকেয়া আক্তার(৩৮),স্বামী:-জাকির হোসেন,সাং-হাবিজপুর,মনোহরদী,নরসিংদী,বাদীর নিকট হইতে ২,৫০,০০০(আড়াই লক্ষ)টাকা জামানত দিয়া মাসিক ৭০০০ হাজার টাকা ভাড়া ধার্য্য করিয়া বিগত ২০১৯ সালে ২ বছরের জন্য ১০০ টাকা নন জুডিশিয়াল ৩ টি স্ট্যাম্পে ডিট করিয়া বিবাদীদ্বয়ের নিকট ভাড়া দেয়।
নির্ধারিত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে বিবাদীদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিভিন্ন অজুহাতে বিবাদীরা ঘর ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করে। বিগত ২ মাস আগে বিবাদীরা ঘর ছেড়ে দিলেও তাদের কিছু মালামাল ঘরে রেখে দেয়।বিবাদীগণ মালিককে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা প্রতিমাসে ৩,৫০০/-টাকা পরিশোধ করত।বিবাদীকে মালামাল সরানোর কথা বললে বিবাদী মালিকের কাছে ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করলে মালিক পক্ষ তা চালাকচর বাজার পরিচালনা কমিটি অবহিত করেন। গত ২৭/৩/২০২৪ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক:-৫-৩০ মিনিটে বিবাদীরা দোকানে আসিয়া ম্যানেজার সজিব গাজী কে এই মর্মে হুমকী দেন
যে,তোর মালিক যদি ৫,০০,০০০(পাঁচ লক্ষ)টাকা চাঁদা না দেয় তাহলে দোকান মালিক বা তোকে গাঁজা বা ইয়াবা দিয়া ফাঁসাইয়া দোকানে তালা লাগিয়ে দিব।এরপর গত ২/৪/২৪ তারিখ বিবাদীগণ জৈনক আলামিন এর দ্বারা বাদীর দোকানে ২ কেজি গাঁজার পুটলি দিয়ে পাঠালে তা দোকানে রাখতে ব্যর্থ হলে চালাকচর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারের কাছে আটক হলে বিবাদীগণ জৈনক আলামিনকে ছাড়াইয়া নেয়। অভিযোগ বিষয়ে বাদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ বাজার কমিটিকে অবহিত করিলেও তারা এ ব্যাপারে সুরাহা দিতে ব্যর্থ হলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মনোহরদী থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯/৪/২০২৪ তারিখে আমি দোকানে গেলে বিবাদী মহিলা মেম্বার রোকেয়া আক্তার ও তার ভাই আরিফুলসহ আরো ১০/১২ জন লোক নিয়ে আমার মার্কেটে এসে দোকানে ঢুকে আমার ও দোকান ম্যানেজারের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমার মাথায় আঘাত করে টেনে হেঁচড়ে আমাকে চালাকচর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটকে রাখে,আমি কোন উপায়ান্তর না দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে,পরবর্তীতে আমি ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং সর্বশেষ নরসিংদী জর্জ কোর্টে একটি সি আর মামলা(২৭৭/২৪) এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় সচিব বরাবর বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি ।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে চালাকচর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার অভিযোগের ২ নং বাদীনী রোকেয়া আক্তার মোবাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।অন্য দিকে মুঠোফোনে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই শরীফ এর কাছে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি মুঠোফোনে কথা না বলে অভিযোগ বিষয়ে সরাসরি থানায় এসে কথা বলার কথা বলে মোবাইল রেখে দেন।