হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই ¯েøাগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধ*র্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গত অক্টোবর ২০১২ সালে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন মিঠানালা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধৃত আসামি মোক্তার হোসেন ও তার অন্যান্য ১৫/১৭ জন সহযোগী মিলে ভিকটিমকে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
উক্ত নৃশংস হত্যার ঘটনায় নিহত ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮(১০)১২, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমের জানতে পারে যে, উল্লেখিত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোক্তার হোসেন চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন পুরাতন কাস্টমস এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ০২ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২১০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোক্তার হোসেন (৫০), পিতা- নুর আলাম @ নাবালক মিয়া, সাং-রহমতাবাদ, থানা-মিরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে, সে বর্ণিত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর হতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিকট গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে আসছিল মর্মে স্বীকার।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।