ঈদগাঁওতে শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে : নারী-পুরুষের ভীড়
এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও
দক্ষিন চট্রলার গুরুত্বপূর্ন বানিজ্যিক কেন্দ্র কক্সবাজারের নতুন উপজেলা ঈদগাঁওতে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানের ঈদেই ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যবসার রমরমা সময়। টানা এক মাস ধরে সব ধরনের পণ্যের ব্যাপক কেনা বেচাকে সামনে রেখে ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরগুলোতে বেচাকেনার ভীড় যেন অতুলনীয়।
৩রা এপ্রিল বিকেলে বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। ১৫ রোজা থেকেই ক্রেতারা ভীড় জমায় বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে। ঈদ বাজারের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার কমিটি কতৃক কিছু ভোলান্টিয়ার দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতেও চোখে পড়ে।
বাজারে আসা ক্রেতারা জানান,তারা শপিং করতে এসেছেন ঈদগাঁও বাজারে। বাজারে আসা পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতাদের ভীড়। রোজার শেষের দিকে কাজের চাপসহ বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে ভীড় কিন্তু বেশি। নানা রঙ্গের ডিজাইন এবং লাইটিং যুক্ত মার্কেট গুলোর পাশাপাশি ফুটপাতেও জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বিভিন্ন মার্কেটে নিন্ম ও মধ্যবিত্তদের কেনাকাটায় দামে ঠাঁই না হলেও তারা এখন ফটপাতকে বেছে নিয়েছেন।
আরো দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজার ও স্টেশনের বিভিন্ন অলিগলিতে কাপড়ের দোকানগুলোতে কেনাকাটার ভর মৌসুমেও ঘন ঘন লোডশেড়িং চলছে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা নিয়ে চরমভাবে বিপাকে পড়েছেন। লোডশেডিং বন্ধের দাবিও জানান ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে বাজারের অভিজাত বিপনী বিতান, ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর এবং মার্কেটগুলোতে নারী পুরুষ ক্রেতারদের ভীড় চোখে পড়ার মতো।সাথে ছোট ছোট শিশুরাও রয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম একটু চড়া।
ঈদের নতুন জামা সেলাইয়ে টেইলার্স গুলোতেও ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। মূলত রোজার সময় যানজট,ভীড় ও ঝামেলা এড়াতে রোজার শুরু থেকেই অনেকে পছন্দের কাপড় সেলাই শুরু করে দেন। সবমিলিয়ে ঈদগাঁওতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার।
তরুন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী জাহেদুল ইসলাম জানান, এবারের ঈদের কেনাকাটার পাশাপাশি লোডশেডিং কিন্তু কম নয়। ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তে ঘনঘন লোডশেডিং মুক্ত রাখার দাবী জানান।