নবদেশ অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানার মামলা নং-২৬ তারিখ ১৯ জুলাই ২০২৩ইং ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/
৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/১১৪/৪২৭/৩৪ এবং দায়রা নং-৪৩০/১২, ধারা- ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০ এর ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গিয়াস উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন মধ্যম সড়াইপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, এর একটি আভিযানিক দল গত ২৬ মার্চ ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি গিয়াস উদ্দিন (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল মালেক @ কালা মিয়া @ কালু মিয়া, সাং-জয়লস্কর, থানা-দাগনভূঞা, জেলা-ফেনী’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে সূত্রে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি এবং আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সর্দার। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে অবস্থান করে আসছিল।
উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ফেনী জেলার ফেনী সদর, সোনাগাজী এবং দাগনভূঞা থানায় চুরি, ডাকাতি, বিস্ফোরক, হত্যা চেষ্টা এবং সরকারী সম্পত্তির ক্ষতিসাধনসহ সর্বমোট ০৮ টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।