নবদেশ অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুত করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ২৬ মার্চ ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ০৬৪০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ সাদেক (৫০), পিতা- মৃত জানে আলম, সাং-দক্ষিণ হালিশহর, থানা- ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। হালিম তালকদার (৪২), পিতা-মশিউর রহমান তালুকদার, সাং-বড়বানাই, থানা- কাঁটালিয়া, জেলা-ঝালকাঠিদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী কালে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে ফ্ল্যাট বাসার শয়ন কক্ষে ০৭টি পলিথিনের ব্যাগে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ১৩ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০২ লক্ষ টাকা।
গেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।