চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, চুরি এবং নাশকতাসহ ১৫ মামলার আসামী খোরশেদ আলম @ খুইশ্যা’কে পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার মামলা নং-১২ (১২)২৩, ধারা-৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এর এজাহার নামীয় পলাতক আসামি খোরশেদ আলম চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন রশিদাবাদ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১৮ মার্চ ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৭২০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি খোরশেদ আলম (৪৪), পিতা-মৃত আমিনুর রশিদ, সাং-ছোট ঢেমশা, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।
উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামির খোরশেদ আলম এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, চুরি এবং নাশকতাসহ সর্বমোট ১৫টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।