অভিনব কায়দায় ভাঙ্গারি মালামালের আড়ালে গাঁজা পরিবহনকালে ২৪ কেজি গাঁজাসহ ০৪ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধসঢ়;ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
এছাড়াও মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে র্যাব-১১, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নির্মূলে ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে র্যাব-১১ বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে র্যাব-১১ বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল অদ্য ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পিকআপের পিছনে ভাঙ্গারি মালামাল ভর্তি বস্তা বোঝাই অবস্থায় অভিনব কায়দায় বস্তার নিচ হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য (২৪ কেজি গাঁজা) ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ সহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ নাছির (৩৮), পিতা- আব্দুল বারেক, মাতা- ঝর্ণা বেগম, সাং- শুশুন্ডা, ডাকঘর- শুশুন্ডা, থানা- মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা, এ/পি সাং- মাসদাইর, গোদারাঘাট (এ্যাডভোকেট নবী হোসেন এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- ফতুল্লা মডেল, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২। মোঃ সুমন (৩৮), পিতা- মৃত কামাল হোসেন, মাতা- মোছাঃ শিরিনা বেগম, সাং- দক্ষিণ পাড়া, পায়ব, কেয়টগ্রাম, ডাকঘর- দারোরা, থানা- মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা, ৩। মোঃ শাকিল মিয়া (২৪), পিতা- মোঃ মিজানুর রহমান, মাতা- আয়েশা খাতুন, সাং-সোনাপুর, ডাকঘর- ঘোড়াশাল, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা এবং ৪। মোঃ সালাউদ্দীন (২০), পিতা- মোঃ ছরু মিয়া, মাতা- মোছাঃ রোশোনা বেগম, সাং- রায়তলা, ডাকঘর- দাররা, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লাদেরকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অভিনব কৌশলে গাঁজা সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলায় বহন ও সরবরাহ করে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য এবং মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।