“র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানা এলাকা হতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার; বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০৩ জন বড় মাদক ব্যবসায়ী আটক এবং মাদক পরিবহনকারী গাড়ী জব্দ”
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এছাড়াও মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে র্যাব-১১, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নির্মূলে ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে র্যাব-১১ বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে র্যাব-১১ বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২৮ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন দাউদকান্দি ব্রিজ টোলপ্লাজা সংলগ্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে একটি প্রাইভেটকার হতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার অবৈধ মাদকদ্রব্য (১৫৫৯০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট) ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ সহ বড় মাদক ব্যবসায়ী ১। মিল্লাদ হোসেন (২৫), পিতা- আবু সাইদ, মাতা- মিনারা, সাং- চনপাড়া, ৫ নং ওয়ার্ড, ইউপি- পূর্বগ্রাম, থানা- রুপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ২। মোঃ লিটন (৪৬) গাড়ীর চালক, পিতা- মৃত সামাদ ব্যাপারী, মাতা- সেতারা বেগম, সাং- চনপাড়া, ৭ নং ওয়ার্ড, ইউপি- পূর্বগ্রাম, থানা- রুপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ এবং ৩। মোঃ ইমন (১৯), পিতা- মোঃ আমনউল্লাহ, মাতা- আমেনা বেগম, সাং- চনপাড়া, ৬ নং ওয়ার্ড, ইউপি- পূর্বগ্রাম, থানা- রুপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জদেরকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন দাউদকান্দি ব্রিজ টোলপ্লাজা সংলগ্ন এলাকা হতে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অভিনব কৌশলে ইয়াবা সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলায় বহন ও সরবরাহ করে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পৃথক পৃথক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য এবং মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।