সোনারগাঁয়ে চাঞ্চল্যকর “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবক নিহত” হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামী জসিমসহ দুইজন র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৯, সিলেট কর্তৃক যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।
১। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৯, সিপিএসসি, সিপিসি-১, সিলেট এর একটি যৌথ বিশেষ আভিযানিক দল অদ্য ২৮/০২/২০২৪ ইং তারিখ রাত্রি ০৩:৩০ ঘটিকায় সোনারগাঁয়ে চাঞ্চল্যকর “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবক নিহত” এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামী ও চাঞ্চল্যকর অপরাধী জসিম ও তার ছেলে ফাহাদদ্বয়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানার বিশ্বরোড এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর পশ্চিম কান্দারগাঁও এলাকায় বালু ভরাট, ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পারভেজ হোসেন (২৮) নামের একজন রাজমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। নিহতের বাবা, দুই ভাইসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ শুক্রবার জুমার নামাজের পর সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম কান্দারগাঁও গ্রামের জাকির হোসেন ও জসীম উদ্দিনের মধ্যে বালু ভরাট, ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। কান্দারগাঁও থেকে সোনারগাঁ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মসজিদের ভেতরে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। নামাজ শেষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র টেটা, রামদা ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
এ সময় জাকিরের চাচাতো ভাই পারভেজ টেটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। পারভেজের ওপর হামলা ঠেকাতে গিয়ে তাঁর বাবা মোতালেব, বড় ভাই রিটন, ছোট ভাই হৃদয়সহ জাকিরের ভাই রুহুল আমিন ও আক্তার হোসেন মারাত্মক আহত হয়। অন্যদিকে জসীম উদ্দিনের পক্ষের দেলোয়ার, জামান, কামাল ও মহসিন আহত হয়। এরই প্রেক্ষিতে নিহত ভিকটিমের ভাই মোঃ হৃদয় মিয়া (২৪) বাদী হয়ে আসামীরে বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৩। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সাথে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামীসহ দুইজন আসামী ১। জসিম (৪৮), পিতা-মনতাজ উদ্দিন এবং আসামী ২। ফাহাদ (২৩), পিতা-জসিম, উভয় সাং-পশ্চিম কান্দারগাঁও, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’দ্বয়কে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৯, সিপিএসসি, সিপিসি-১ এর যৌথ অভিযানে সনাক্ত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২৮/০২/২০২৪ ইং তারিখ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সদর মডেল থানাধীন বিশ্বরোড এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী’দ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।