নারায়ণগঞ্জে র্যাবের যৌথ অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার
র্যাবের যৌথ অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা এলাকা হতে ধ*র্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মোঃ এনামুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারী) র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয় তাকে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জ ও র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এর যৌথ অভিযানে একটি আভিযানিক দল অদ্য ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন প্রতাপনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ এনামুল মিয়া (১৯)’কে গ্রেফতার করে। ঘটনা সূত্রে ও প্রাথমিক অনুসন্ধনে জানা যায় যে, গত ইং ১২/০১/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৮:০০ ঘটিকার সময় বাদীর নাবালিকা মেয়ে ভিকটিম মোছাঃ মুনমুন(১১) তার বড় বোনের সাথে প্রতিবেশী ভাই মোঃ জুয়েল মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান দেখার জন্য যায়। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে একই তারিখ রাত্র অনুমান ০৮:১৫ ঘটিকার সময় আসামী মো: এনামুল মিয়া (১৯) ভিকটিম মোছাঃ মুনমুন(১১)’কে কৌশলে ডাক দিয়ে বিবাহের প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধ*র্ষণ করে।
পরবর্তীতে বাদি ভিকটিম এর মা মোছা: কমলা বেগম (৪০) গাইবান্ধা জেলার সদর থানায় একটি ধ*র্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০(০১)২৪; ধারা- ৯(১), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী)২০০৩। র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জ ও র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এর যৌথ অভিযানে একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ এনামুল মিয়া (১৯), পিতা- আবুল কালাম আজাদ, মাতা-মোছাঃ সাহানা বেগম, সাং- উত্তর গিদারী (গাছের ভিটা), থানা-গাইবান্দা সদর, জেলা-গাইবান্ধা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ এনামুল মিয়া (১৯)’কে গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এাছাড়াও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে আসছে। নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।