কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকা থেকে অনুমান ১০ কোটি টাকা মূল্যমানের ০২ কেজি অবৈধ মাদক ক্রিস্টালমেথ (আইস) এর চালান উদ্ধারসহ এক মাদক ব্যবসায়ী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১০ কোটি টাকা মূল্যমানের
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। বর্তমান সময়ে সর্বনাশা মাদকের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। ক্রিস্টালমেথ বা আইস নামক এই মাদকের নেশার প্রচলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদক কারবারীরা পার্শ্ববর্তী দেশ হতে বিভিন্ন কৌশলে আইসের চালান নিয়ে আসছে। র্যাব এই ধরণের মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নজরদারী বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল জানতে পারে, ক্রিস্টালমেথ নামক মাদক কারবারি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদকের চালান নিয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা বাজার এলাকায় একজন মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এ প্রেক্ষিতে র্যাব বর্ণিত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং অদ্য ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল একটি মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আভিযানিক দল কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা বাজারের শেল্টার এন্ড সাইট ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এর সামনে উপস্থিত হইলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আইসের চালানটির মূলহোতা খাইরুল বশর(৩২), পিতা-মৃত নজির আহম্মদ, সাং-জাদিমুরা(জিঞ্জিরাপাড়া), হ্নীলা ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত খাইরুল বশর’কে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার ডান হাতে থাকা একটি শপিং ব্যাগের ভিতরে ক্রিস্টালমেথ বা আইস রয়েছে বলে স্বীকার করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ০২ কেজি ক্রিস্টালমেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়। কথিত আছে উদ্ধারকৃত ০২ কেজি ক্রিস্টালমেথ বা আইসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদানসহ পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক চোরাচালান চক্রের যোগসাজসে দেশে অবৈধ মাদক আইস চোরাকারবারির সাথে সে জড়িত বলে স্বীকার করে। সে টেকনাফ এলাকার একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক সিন্ডিকেটের সাথে সার্বিক সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আইসের চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসে এবং এই সকল মাদকের চালান বিভিন্ন উপায়ে এজেন্টদের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় বলে জানা যায়।
৫। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
—–ধন্যবাদ—–