খোলাডাঙ্গায় গৃহ চুরির ঘটনায় মুল চোরের ১জন গ্রেফতার
কাপড়চোপড় উদ্ধার।
ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণঃ
জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম(বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় খোলাডাঙ্গা সাকিনে জনৈক মহিবুর রহমান বাচ্চার স্কুল ছুটিতে পটুয়াখালী কুয়াকাটায় বেড়াতে যান, ইং ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকায় ফিরে এসে দেখেন বাসার প্রধান ফটকের তালা ভাঙ্গা ঘরের প্রতিটা কক্ষের দরজা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোর চক্র ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, টিভি, আয়রন, কাপড়চোপড়, নগদ টাকাসহ মোট ৮ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এই সংক্রান্তে তিনি বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনা ছাড়াও একাধিক চুরির ঘটনায় মাঠে নামে ডিবি’র এলআইসি টিম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে এর আগে ১ মহিলাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে ২ ভরি ৯ আনা স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, ২টি ঘড়ি, কাপড়চোপড়, মোবাইল উদ্ধার করেন।
উক্ত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের প্রধান রবিউল ইসলাম ও রিজভী আহম্মেদ রাফিন মনিরামপুর থানা এলাকায় চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধৃত হয়ে জেল হাজতে আছে। আরেকজন শাকিল পালিয়ে যায়। অবশেষে অদ্য বেলা ১২.১০ ঘটিকার সময় শাকিল হোসেনকে কৃষ্ণবাটি থেকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত থেকে ১টি থ্রি পিচ উদ্ধার করে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালতে শাকিল হোসেন কাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
শাকিল হোসেন স্বীকার করে যে, রিজভী আহম্মেদ রাফিন এর নেতৃ্ত্বে খোলাডাঙ্গা, কৃষ্ণবাটি, তপস্বীডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক চুরি সংঘটন করে।
আসামীর তথ্যঃ
১। মোঃ শাকিল হোসেন (২৯), পিতা- মৃত আবুল কালাম, মাতা-আয়েশা বেগম, সাং-কৃষ্ণবাটি, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। চোরাই উদ্ধার থ্রি পিচ।
“বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ,
সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর, যশোর জেলা পুলিশ”
ধন্যবাদান্তে-
পুলিশ সুপার, যশোর