প্রতিনিধিঃ সেলিম বাবু
গাংনীতে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি, ওসি’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত
৭৪ মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে নৌকা ও ট্রাক সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৫ জানুয়ারী) দুপুর ২ টার দিকে গাংনী বাজারের বাসস্ট্যান্ড এলাকার কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গাংনী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলামসহ সঙ্গীও ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সংবাদ পেয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা যৌথ বাহিনীর একাধিক টিমসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী আবু সালেহ মোঃ নাজমুল হকের নৌকা প্রতীকের সমর্থক।
সেজন্য আমার ব্যক্তিগত গাড়িতে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা ব্যানার টাঙানো রয়েছে।
আমি জুম্মার নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য মুকবুল হোসেনের ট্রাক মার্কা প্রতীকের সমর্থক মটর শ্রমিক নেতা মনিরুল ইসলাম মনিসহ আরো তিন জন ব্যক্তি আমাকে জানান কমিশনের নির্বাচনী ঘোষণা অনুযায়ী ৫ তারিখ সকাল ৮টার পর থেকে প্রচার- প্রচারণা বন্ধ।
তাই আপনি গাড়ি থেকে নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানারটি খুলে ফেলুন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণ বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়ে দিলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
অপরদিকে, মটর শ্রমিক নেতা ধাক্কা-ধাক্কির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলামকে তার গাড়ি থেকে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার খুলে ফেলতে বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে একপর্যায়ে তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে আমিসহ আমার সহযোগিদের গুলি করার জন্য উদ্ধত হন। এ সময় আমার ফেসবুক থেকে আমি লাইভ শুরু করি।
ইতোমধ্যে সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম ফোন করে বেশ কিছু নৌকা সমর্থকদের হাজির করে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত হন।
গাংনী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলামসহ একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সংবাদ পেয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা যৌথ বাহিনীর একাধিক টিমসহ গঠনস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে তার নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন। সংবাদ প্রেরণের সময় পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।