রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে বিপুল পরিমান ককটেল, পেট্রোল বোমা ও ককটেল তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
ককটেল, পেট্রোল বোমা ও ককটেল তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন গ্রেফতার
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার, মাদক উদ্ধারসহ দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন এবং জনসাধারণের জান-মাল রক্ষায় নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ হতে নির্বাচন বানচল করার উদ্দেশ্যে বিএনপি এর নেতাকর্মীরা অবরোধের নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনা, এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহন ভাংচুর ও ককটেল নিক্ষেপ/দাহ্য পদার্থ দ্বারা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এমনকি গত ২৮/১০/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে তাদের নারকীয় তাবে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাসহ সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা শুরু করে।
উপরোক্ত ঘটনার পর র্যাব গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ হতে সারাদেশে চলমান বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনা, এ্যাম্বুলেন্স, ট্রেইনসহ বিভিন্ন পরিবহন ভাংচুর/অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার পরিকল্পনাকারীসহ জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাত ২২:০০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন শ্যামপুর পালপাড়া মন্দির রোড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ককটেল, পেট্রোল বোমা ও ককটেল তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম..
১। মোঃ নয়ন (২২), পিতা-মোঃ সিরাজ, সাং-শ্যামপুর পালপাড়া, থানা-কদমতলী, ঢাকা ও ২। আলামিন (২৩), পিতা-মোঃ মোক্তার হোসেন, সাং-শ্যামপুর পালপাড়া, থানা-কদমতলী, ঢাকা বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ১৩টি ককটেল, ১৫টি পেট্রোল বোমা, গান পাউডার, কাচের গুরা, ০২টি কেচি ও ০৭টি স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়।
৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত নয়ন ও আলামিন উভয়ই ছাত্রদলের কর্মী। তারা স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে পেট্রোল বোমা ও ককটেল তৈরি করে তাদের চাহিদামত বিভিন্ন সময়ে সরবরাহ করে আসছিল।
৬। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, ইতোপূর্বে তারা সেলিম রেজা ও আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, ধোলাইপাড়, গোলাপবাদ, ডেমরা, দনিয়া ও কদমতলীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নয়নের বিরুদ্ধে রাজধানীর কদমতলী থানায় নাশকতা, চুরি ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।