কুষ্টিয়া জেলায় লোভনীয় বেতনে বিদেশ নেওয়ার নামে প্রতারণা
নাটোর চান্দাই উপজেলার বাসিন্দা মো: আনোয়ারুল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে—লোভনীয় বেতনে মালেশিয়া পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৪০ জনের কাছ থেকে মোট ৪০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। টাকা হাতানোর পর থেকেই তিনি মালেশিয়া অবস্থান করছেন। তাঁর ফোন বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। আবার কখনও কখনও ফোন খোলা থাকলেও ভুক্তভোগীরা ফোন দিলে আনোয়ারুল বিভিন্নভাবে তাঁদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আনোয়ারুল নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মো: উমেদ আলী এবং স্ত্রীর নাম ফারজানা খাতুন।
আনোয়ারুল প্রতারণার ফাঁদ পেতে গত বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কুষ্টিয়া জেলার ইউনিয়নের তার অন্য এক মালেশিয়া প্রবাসীকে ফাদে ফেলানোর মাধ্যমে প্রতারণার জাল বিস্তার করে । চাঁদপুর ইউনিয়নের মহননগর গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী রাজাকে টার্গেট করে প্রতারণার কাজ শুরু করেন তিনি।
আনোয়ারুল ১০০ ভিসা পেয়েছে এমন কথা বলে এবং কয়েকটি জাল ভিসা দেখিয়ে কম টাকায় কয়েকজন লোক পাঠাবেন বলে প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবের ফাদে পরে কুষ্টিয়া জেলার বেশ কয়েক উপজেলার অনন্ত ৪০ জন মানুষ। সরল বিশ্বাসে তাঁর কাছে আমাদের ২০টি পাসপোর্ট ফটোকপি জমা দেয়।
এবং জন প্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে মোট ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা আনোয়ারুল এর পিতা, স্ত্রী এবং বোনের জনতা ব্যাংকের তিনটি একাউন্ট এবং বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে ।
এরপর শুরু হয় টাকা দেওয়া ব্যক্তিদের ভোগান্তি, মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভিসা দেওয়ার কথা দিলেও না দেওয়াতে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা আনোয়ারুল, ও রাজার সাথে যোগাযোগ করেন, এরপর রাজা নিজেও বুঝতে পারে আনোয়ারুল তাকে ধোকা দিয়েছে।
এরপর আনোয়ারুল ভুক্তভোগী ও রাজাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে। বেশিরভাগ ভুক্তভোগী রাজার মাধ্যমে টাকা দেওয়াতে রাজাকে চাপ দিতে থাকে।
রাজা, আনোয়ারুল এর এই ধোকা খেয়ে দিশেহারা হয়ে পরে, এবং নিজের সহায়সম্বল বিক্রি করে রাজার মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বায় দেয়।
এই বিষয় রাজার সাথে যোগাযোগ করা হলে রাজা জানান, আনোয়ারুল ও আমি একই কোম্পানিতে কাজ করতাম আনোয়ারুলের অবস্থা কোম্পানিতে ভালো থাকায় আনোয়ারুল আমাকে বলে কোম্পানি আমাকে ১০০ ভিসা দিয়েছে তোমার কোন লোক থাকলে আমাকে জানাতে পারো, এরপর আমি আমার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বলি আমাকে আমার কোম্পানির বড় ভাই ১০০ ভিসায় লোক নিবে তোমাদের ইচ্ছা থাকলে মালয়েশিয়া আসতে পারো, এবং আমার কথায় আমার বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন মালয়েশিয়া আসতে রাজি হন এবং তাকে ২০ পাসপোর্টের ফটোকপি সহ মোট ৪০ লক্ষ আটচল্লিশ হাজার টাকা জমা দেন , তিন মাসের মধ্যে ভিসা দেয়ার কথা থাকলেও আনোয়ারুল তা দিতে পারেনা এবং আমি জানতে পারি আনোয়ারুল আমাকে টার্গেট করে আমার আত্মীয় স্বজনদের ফাঁদে ফেলেছে আমার কথায় আত্মীয় স্বজন টাকা দেওয়াই এখন আত্মীয় স্বজনদের আমার সমস্ত সহায়সম্বল বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে
আমি আনোয়ারুলের বিচার দাবি করছি। রাজা আরো বলেন, আনোয়ারুল প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত আয় দিয়ে তিনি সুরম্য ভবন, জমিসহ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এলাকায় তিনি এখন ভয়ংকর প্রতারক হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে আনোয়ারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে, আনোয়ারুলের মালোশিয়ার নাম্বারটি রিং হলেও তিনি রিসিভ করেন না। এবং তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি যে কোন যোগাযোগ করে নি।
এই বিষয়ে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।