কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার,২৪ ঘন্টার মধ্যে ১জন আটক
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রেখা খাতুন (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া পৌরস- ভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং ই ব্লক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
একটি সুত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের হয়দাপাড়া এলাকার সিরাজের ছেলেআওলাদকে পুলিশ আটক করেছে। সে রুপালী ব্যাংক কুষ্টিয়া বড় বাজার শাখার ড্রাইভার। সে সম্পর্কে নিহত রেখার দুলাভাই ।
নিহত রেখা কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাখই গ্রামের রহিম আলীর মেয়ে। সে কুমারখালী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পারিবারিকভাবে ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ এলাকার হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। হাফিজুল গোপালগঞ্জ জেলায় ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন।
নিহতের বাবা রহিম আলী বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো বুধবারেও সকাল ৯টার দিকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়। কুমারখালী কলেজে যাওয়ার সময় আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে যায়। অন্যান্য দিন দুপুর ২টার মধ্যেই কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু বুধবারে সে বাড়ি ফেরেনি। পরে
কোথাও খোঁজ করে পাচ্ছিলাম না। এরপর সন্ধ্যার দিকে খবর পাই, আমার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে দেখি আমার মেয়ের নিথর মরদেহ পড়ে আছে লাশ কাটার ঘরে। তিনি আরও বলেন, আমি গরীব মানুষ ক্ষুদ্র ব্যবসা করি। আমার কোনো ছেলে নেই। ৫ মেয়ের মধ্যে রেখা সবার ছোট। ১৯ দিন আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়েছে। আমাদের কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে তা জানি না। তবে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের ঠোঁট কাটা, শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের মা মাজেদা খাতুন জানান, আমার বড় জামাই আওলাদের নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নিই। রেখার বিয়ের আগে সে রেখার বিয়ে দিতে বিভিন্ন ভাবে বাধা দিয়ে আসছিলো। পরে টাকার জন্য আওলাদ আমাকে বিভিন্ন এভাবে চাপ দেয়। বাড়ির ১শতক জমি বিক্রি করে আওলাদের টাকা পরিশোধ করে রেখার বিয়ে দিই।
নিহতের স্বামী হাফিজ জানান, রেখার সাথে আমার ১ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কিছুদিন আগে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগেই আওলাদ মোবাইল ফোনে আমাকে হত্যার হুমকী দেয় ও অশ্লীল ভাবে গালিগালাজ করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১. প্রথম পাতা
কুষ্টিয়ার হাউজিং সি ব্লকে ওয়াবদার পেছন থেকে কম্বলে মোড়ানো নারীর লা*শ উদ্ধার !
2. দ্বিতয় পাতা
৩. তৃতীয় পাতা
https://nobodesh24.com/%e0%a6%85%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%b2/